নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের যে শঙ্কা ছিল, নির্বাচনের পর তা কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কিত আইনসংক্রান্ত সব বিষয় নিয়ে হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

‘নির্বাচনের আগে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের সঙ্গে যে মতপার্থক্য বা সংকট তৈরি হয়েছিল, নির্বাচনের পর কূটনীতিকরা মন্ত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করছেন; তাহলে কি সংকট কেটে গেছে’, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কূটনৈতিক সংকট বলব না, আমার মনে হয় আপনাদের মনে একটা দুশ্চিন্তা ছিল। কূটনৈতিক সংকট হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল, অবশ্যই আপনারা দেখেছেন নির্বাচনের পরে সেরকম কোনো সমস্যা নেই।’

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের যেসব উন্নয়ন অংশীদার আছে, সেসব উন্নয়ন অংশীজনের সঙ্গে আইনের প্রয়োগ, আইনের ধারাগুলোর স্পষ্টীকরণ- এগুলো সবসময়ই প্রয়োজন হয়। যেসব সমস্যা ও আইনে যে অবকাঠামো, সেটা অনেক দিন আগে থেকেই প্রায় এক। তিনি বলেন, আইনে যেসব পরিবর্তন ভারতে হয়েছে, সেসব পরিবর্তন আমাদের দেশেও সম্ভাবনা আছে কি না এবং আমাদের দেশে আইনে যেসব পরিবর্তন করেছি, সেগুলো ভারতে সম্ভাবনা আছে কি না, সে বিষয়ে আমরা সবসময় আলাপ করে থাকি। আজকেও আলাপ হয়েছে।

জুডিশিয়াল কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ভারতের ভুপালে একটা ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১ হাজার ২০৬ জুডিশিয়াল অফিসার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আরো প্রায় ২ হাজার প্রশিক্ষণ নেবেন। আমরা দেশে একটা ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি করতে যাচ্ছি। সেখানে ভারতের অভিজ্ঞদের আমাদের প্রয়োজন হবে। এসব বিষয় নিয়েই আলাপ আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকের বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের সব বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে। বিশেষ করে কথা হয়েছে দুই দেশের জুডিশিয়ারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে, যেখানে পারস্পরিক জ্ঞান ও তথ্য বিনিময় হবে।

"