নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রকাশ্যে ভোটদান

ইসিতে ক্ষমা চেয়েছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার বিষয়টি ‘ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে’ দেখতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের তলবে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। গত ১১ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথের দিন ফরিদুলকে তলব করে নির্বাচন কমিশন।

গত ৭ জানুয়ারি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের সিরাবাদ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দেন তিনি, যা গণমাধ্যমে ছবিসহ প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, প্রকাশ্যে ভোট দান করে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধে আপনার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- সে বিষয়ে ১৫ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় নির্বাচন ভবনে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে ইসি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে নির্বাচন কমিশনকে ব্যাখ্যা দেন ধর্মমন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। ফরিদুল বলেন, বাংলাদেশ সরকার, আইন রয়ে গেছে, সংবিধান রয়ে গেছে, সবকিছু রয়ে গেছে এবং আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অতএব বিধান অনুসারে আমাদের নির্বাচন কমিশন থেকে আমাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আমি উপস্থিত হয়েছি এবং আমি আমার কথা বলেছি কমিশনের কাছে।

ব্যাখ্যায় কী বলেছেন, এই প্রশ্নে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমার যতটুকু বিশ্বাস মেজর (গুরুতর) কোনো অপরাধ যদিও বা না, তারপরও আমি বলেছি, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অতএব ক্ষমাশীল দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রেখে আমি আমার কথা শেষ করে চলে এসেছি। কমিশন কী বলেছে, এই প্রশ্নে তিনি বলেন, কমিশন বলল যে আমরা দেখব বিষয়টা। এটা তাদের বিষয়।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বক্তব্য আসেনি। প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া অপরাধ ছিল কি না, এমন প্রশ্নে ফরিদুল বলেন, যতটুকু বলার আমি বলেছি আপনাদের। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার কোনো সুযোগ নেই এখানে। এই কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ বিব্রত কি না, এমন প্রশ্নে জামালপুর-২ আসনে টানা চারবারের সংসদ সদস্য বলেন, না, আওয়ামী লীগ বিব্রত না। আওয়ামী লীগ বিব্রত না, কেউ বিব্রত না। এই আসনটিতে ফরিদুল প্রথমবারের মতো প্রার্থী হন ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয় জয় পাওয়ার পর তাকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এবার পদোন্নতি পেয়ে তিনি মন্ত্রী হয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close