সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

  ১১ জানুয়ারি, ২০২৪

ঢাকা-১৯ আসন

ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে হেরেছেন প্রতিমন্ত্রী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে হেরেছেন বর্তমান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি এবং তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ। মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ৮৪ হাজার ৭১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট, দুইবারের এমপি প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান নৌকা ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। এ আসনে মোট ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৪০১জন ভোটার।

রাজধানীর অদূরে শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়া নিয়ে জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৯ আসন। তালুকদার আনোয়ার জং ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালের নৌকার প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার শাহাদাত বরণের পর আসনটি বিএনপি-জাতীয় পার্টির দখলে চলে যায়। ২০০৮ সালে তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ আসনটি পুনরুদ্ধার করেন। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় মুরাদ জং বাদ পরলে ১৯১৪ ও ১৯১৮ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডা. এনামুর রহমান এমপি নির্বাচিত হন। তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পালন করেন।

ডা. এনামুর রহমান এমপি ও মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে গত ১০ বছর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছিলেন রাজনৈতিক অভিভাবকহীন। তার সঙ্গে তৃণমূল নেতাকর্মীরা মন খুলে তার সমস্যার কথা বলার সুযোগ পায়নি। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, তিনি সাধারণ মানুষকে মূল্যায়ন করেনি। ২০১৩ সালে সাবেক এমপি তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে ১০ বছর এলাকা ছেড়ে ঢাকা মিরপুরের বাসা ও বিদেশে ছিলেন। এ কারণে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের সময় তিনি সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন। পরে তিনি আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দলীয় কর্মসূচিতে নিজের অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সবসময় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সমস্যা সমাধানে কাজ করেছেন। তাদের বিপদে পাশে থেকে সাহায্য করেছেন। এতে এলাকায় তার জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হয়।

করোনাকালীন আশুলিয়া থানা এলাকার ৫টি ইউনিয়নে সাধারণ মানুষ ও শিল্পাঞ্চলের পোশাকশ্রমিকদের তিনি খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১৯ আসনে মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে হেভিওয়েট প্রার্থী প্রতিমন্ত্রীকে হারিয়ে বিজয়ের হাসি হাসেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close