মীর আসলাম, রাউজান (চট্টগ্রাম)

  ০৯ জুন, ২০২৩

থোকায় থোকায় সূর্যডিম

তিন বছর আগে লাগানো হয়েছিল আমগাছের কলম করা চারা। সেই গাছে এখন ধরেছে থোকায় থোকায় বড় বড় আম। একাধিক চারা গাছে ঝুলছে দৃষ্টিনন্দন সূর্যডিম নামে খ্যাত দামি রঙিন আম। এমন দৃশ্য চট্টগ্রাম-৬ রাউজান নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বাড়ির আঙিনাসহ উপজেলা পরিষদের সামনের চত্বরে। এই দুটি স্থানে সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী নিজের হাতে তিন বছর আগে লাগিয়েছিলেন এই আমের কলম করা চারা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ সিকদার বলেছেন, তার কার্যালয়ের সামনে লাগানো সূর্যডিম আমের কলমগুলোর লাগানো হয়েছিল দুই বছর আগে। নিয়মিত পরিচর্যায় প্রতিটি গাছে চার পাঁচটা করে আম ধরেছে। রঙিন আমগুলো এখন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তবে আমগুলোতে হাত দিতে নিষেধ রয়েছে। রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিশাল বাড়ির আঙিনায় সারি সারি গাছে ঝুলছে বড় বড় আম। অন্তত ২০-২২টি গাছে ঝুলছে রঙিন আম। এগুলো দেখতে রঙিন সূর্যডিম আম।

এখানে দেখা গেছে বেশির ভাগ গাছে পাঁচণ্ডসাতটি করে ধরেছে বড় জাতের আম। জানা যায়, গত তিন বছর আগে এসব আমের কলম সংসদ সদস্য নিজের হাতে লাগিয়েছিলেন বাড়ির আঙিনায়। গত ৪ জুন রবিবার ছিল ওই বাড়িতে এক জেয়াফত অনুষ্ঠান। সেখানে সমবেত হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। দৃষ্টি আকর্ষণ করা ছোট গাছে ঝুলন্ত রঙিন আমসহ উন্নত জাতে বড় বড় আমের সঙ্গে গা মিশিয়ে অনেকেই সেলফি তুলেছেন।

বাড়ির কেয়ারটেকার বলেছেন এই বাড়ির চারদিকে রয়েছে নানা জাতের ফলের গাছ। প্রায় প্রতিটি গাছে এখন ফল। ফলজ গাছে হাত দেওয়া নিষেধ করা আছে। এখানে মানুষ সৌন্দর্য উপভোগ করলেও কোনো গাছে কেউ হাত দেন না। অনেক গাছের পাকা ফল পাখি খাচ্ছে। ঝড়ে পড়া পাকা ফল সংসদ সদস্য বাড়িতে এলে বিলিয়ে দেন এলাকার মানুষের মাঝে।

জানা গেছে, ফজলে করিম চৌধুরী এমপি যখনই বাড়িতে আসেন প্রথমে তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেন গাছগুলো। প্রতিটি গাছের পরিচর্যা করেন নিজের হাতে। রোগ-বালাই দেখলে কৃষিবিদ ডেকে তিনি প্রতিষেধক দিতে রোগবলাই সারান। সংসদ সদস্য ফজলে করিম এমপি ২০১৭ সালে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশা মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এক ঘণ্টায় প্রায় পাঁচ লাখ ফলদ চারা রোপণ করেছিলেন।

রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ রোপণ করা এসব চারা গাছে ফুল হয়, ফল হয়। পাকা ফল খাচ্ছে পাখি। নিচ্ছে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজন। তবে নিষেধ আছে অপরিপক্ব ফল না ছেঁড়ার। এগুলো নজরদারি করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close