প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০২ অক্টোবর, ২০২২

জমির ই-নামজারিতে কমবে হয়রানি, বাঁচবে টাকা

তহসিল অফিসে জমির মালিকানা ও খাজনা বিষয়ে নানা ধরনের সেবা নিতে গ্রাহকদের হয়রানির শিকার হতে না হয় সে লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বেশ কয়েকটি সেবার অনলাইন আবেদনের সুযোগ চালু করা হয়েছে। এ অনুযায়ী ১ অক্টোবর থেকেই ভূমির নামজারির সব কাজ সম্পন্ন হচ্ছে অনলাইনে। একে বলা হচ্ছে ই-নামজারি। এতে সেবা গ্রহীতার হয়রানি কমবে এবং টাকা বাঁচবে।

ভূমি সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, মানুষের ভোগান্তি লাঘব এবং জটিলতা এড়ানোর জন্য ই-নামজারি আবেদন ও নোটিশ ফির মতো নামজারি অনুমোদনের পর রেকর্ড সংশোধন ও খতিয়ান সরবরাহ ফিও শুধু অনলাইনে নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফলে ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে নামজারি অনুমোদনের পর রেকর্ড সংশোধন ও খতিয়ান সরবরাহ ফি আর ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বা ক্যাশে দেওয়া যাবে না। সচিব বলেন, নামজারির জন্য কারো যেন অতিরিক্ত অর্থ খরচ বা ত্রুটি সংশোধনের জন্য বাড়তি খরচ না হয় তা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নামজারি : কোনো জমি কিনলে সেটি নিজের নামে নামজারি করতে হয়। এর মানে হলো সরকারি ভূমি অফিসের রেজিস্ট্রারে আপনার নামে জমিটি লিপিবদ্ধ থাকে। ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার প্রতি ১০ বা ১৫ বছর অন্তর ভূমি জরিপের মাধ্যমে ভূমির মালিকানা স্বত্বলিপি অর্থাৎ মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান প্রস্তুত করে থাকে।

জরিপ-পরবর্তী সময়ে যদি কোনো জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়। যেমন মালিকের মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকার জমি পেলে কিংবা প্রকৃত মালিক বা উত্তরাধিকারীরা জমি কেনা-বেচা করলে বা হস্তান্তর করলে সেই জমির নতুন মালিকানা বা ভূমিস্বত্বের তথ্য হালনাগাদের প্রয়োজন হয়। এজন্য সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে আগে হাতে-হাতে নামজারি আবেদন করতে হতো।

ভূমির মালিকানা পরিবর্তনের সঙ্গে সহজে ও দ্রুত নামজারি করার লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় অনলাইনে নামজারি ফি পরিশোধের ব্যবস্থাসহ ই-নামজারি সিস্টেম চালু করেছে। এজন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে অনলাইন নামজারি সিস্টেমে ‘অনলাইনে আবেদন করুন’ এবং ‘আবেদন ট্র্যাকিং’ নামে দুটি অংশ রয়েছে। বাম পাশে ‘অনলাইনে আবেদন করুন’ অংশের নিচে ‘নামজারি আবেদনের জন্য ক্লিক করুন’ লেখায় ক্লিক করলে আবেদন ফর্ম আসবে। নির্ভুলভাবে সেই ফরম পূরণ এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংযুক্ত করে আবেদন জানাতে হবে।

আবেদন দাখিলের সময় আবেদন ফি ২০ টাকা ও নোটিশ জারি ফি ৫০ টাকাণ্ড মোট ৭০ টাকা শুধু অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। এজন্য নগদ, রকেট, বিকাশ, উপায়, ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ডসহ অন্যান্য ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য যে ভূমি মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে অনলাইনে ক্রয়-সূত্রে নামজারি আবেদন ফরমটি আরো তথ্যসমৃদ্ধ হয়েছে, তাই ক্রয়সূত্রে সিলেক্ট করলে আপনার সামনে নতুন একটি ফর্ম আসবে, এতে আপনাকে কিছু বর্ধিত তথ্য দিতে হবে। অন্যান্য সূত্রের ক্ষেত্রে আগের ফরমটিই চলমান আছে। তবে পৃথক ফরম ক্রমান্বয়ে উন্নয়ন করার কথা রয়েছে। সূত্র বিবিসি বাংলা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close