সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি

  ২৮ জানুয়ারি, ২০২০

আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ : বাড়িঘর ভাঙচুর, আহত ১৫

পাবনার সুজানগরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে পূর্ববিরোধের জেরে সংঘর্ষ ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সুজানগর উপজেলা ও আমিনপুর থানাধীন আহমেদপুর ইউনিয়নে গত রোববার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত ও ১০ থেকে ১২টি বাড়ি ভাঙচুরের পর লুটপাট চালানো হয়েছে।

আমিনপুর থানার উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় আহমেদপুর ইউনিয়নের বিরাহিমপুর মীর্জা আবদুর রশিদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এক বর্ধিতসভার আয়োজন করে। সভায় কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বাবু গ্রুপ এবং আবদুর রশিদ গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সম্প্রতি আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদে ইউপি সদস্য নির্বাচনে আবদুর রশিদ ও তার লোকজন প্রয়াত ইউপি সদস্যর স্ত্রীর পক্ষে ভোট করায় পরাজিত হলে বিজয়ী ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বাবু ও তার পক্ষের লোকজন তাদের পক্ষে ভোট না করায় গত রোববার বিকালে বাবুর নেতৃত্বে তার গ্রুপের লোকজন রশিদ গ্রপের ওপর হামলা চালায়। এতে রশিদসহ তার গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় হামলাকারীরা রশিদ গ্রুপের লোকজনের প্রায় ১০ থেকে ১২টি বাড়িঘর ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায় বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত মজিদের স্ত্রী আফরোজা খাতুনের।

আনোয়ার হোসেন বাবু উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন সমর্থক এবং আবদুর রশিদ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র আবদুল ওহাব গ্রুপের সমর্থক। ক্ষতিগ্রস্ত দেলোয়ারের স্ত্রী শাহানাজ খাতুন অভিযোগ করেন, ‘রশিদ গ্রুপের সমর্থক হওয়ায় আমার স্বামী দেলোয়ার হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাঁতঘরে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১০টি তাঁতের সুতার রিম কেটে নষ্ট করে দেয় সন্ত্রাসীরা। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বাবু বলেন, আমার লোকজন হামলা করেনি। এদিকে সংর্ষের ঘটনায় আহম্মদপুর ইউনিয়নের ২৪ মাইল দুর্গাপুর গ্রামের আবদুর রশিদ গ্রুপের আবদুর রশিদ সহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাসেল পারভেজ বাবু, রফিকুল ইসলাম, আব্বাস আলী, সুমন, আবদুল আওয়াল, শুভ প্রামাণিক, সন্টুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অপরদিক ইউপি সদস্য বাবুর পক্ষের সরোয়ার হোসেন ও ফরজ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহিন বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে আমার লোকজনের সম্পৃক্ততা নেই। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আবদুল ওহাব বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনের লোকজন দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলা চালিয়েছে। আমিনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় উভয় পক্ষ অভিযোগ করেছে। তদন্তের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close