আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯

সিপিজের রিপোর্ট

বিশ্বজুড়ে ২৫০ সাংবাদিক জেলে শীর্ষে চীন

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের কারাগারে পাঠানোর ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে চীন। তুরস্কের রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে উঠে এসেছে এশিয়ার দেশটি। ২০১৯ সালে ৪৮ জন সাংবাদিককে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে দেশটি। ২৫০ জন সাংবাদিককে জেলে পাঠিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের (সিপিজে) বার্ষিক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার মার্কিন গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

বার্ষিক প্রতিবেদনে সিপিজে বলেছে, এ বছর বিশ্বে ২৫০ জনের বেশি সাংবাদিককে বিভিন্ন ঘটনায় কারাগারে পাঠিয়েছে কয়েকটি দেশ। সরকারের রোষানলে পড়ে পরপর চার বছর ২৫০ জন সাংবাদিক কারাগারে থাকার ঘটনা ঘটল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিভিন্ন একনায়ক সরকারের সমালোচনা করায় এসব সাংবাদিককে কারাদ- দেওয়া হয়। স্বাধীন সাংবাদিকতাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকেই সাংবাদিকদের চাকরি হারানো এবং নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে তুরস্ক।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিকদের কলম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্য এলাকার চেয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্য। সাংবাদিক জেলে ঢোকানোর ক্ষেত্রে তালিকায় তৃতীয় স্থানে সৌদি আরব ও মিসর।

সিপিজে জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি গণমাধ্যমে নিজেদের সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না।

এ বছর তুরস্কে এরদোয়ান সরকার ৪৭ জন সাংবাদিককে জেলে পাঠিয়েছে। গত বছর, অর্থাৎ ২০১৮ সালে দেশটিতে ৬৮ জন সাংবাদিককে জেলে পাঠানো হয়েছে। তবে সিপিজে বলেছে, সাংবাদিক কম জেলে পাঠানো মানেই তুরস্কে অবস্থার উন্নতি হয়েছে এ কথা মনে করার বিষয়টি ভুল হবে। এরদোয়ান প্রায় ১০০টি গণমাধ্যম বন্ধ করেছেন।

এ বছর ৪৮ জন গণমাধ্যমকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে চিন পিং সরকার। ২০১৮ সালের চেয়ে সাংবাদিকদের জেলে যাওয়ার সংখ্যা একজন বেশি। সিপিজে বলছে, সি চিন পিং ‘গণমাধ্যমে টুঁটি চেপে ধরাকে শিল্পের’ পর্যায়ে নিয়েছেন। সৌদি আরব ও মিসর এ বছর ২৬ জন সাংবাদিককে জেলে পাঠিয়েছে। তালিকার তৃতীয় স্থানে আছে দেশ দুটি। ইরিত্রিয়া ১৬ সাংবাদিককে জেলে পাঠিয়েছে। গত দুই দশকে এই দেশের নাম সাংবাদিকদের কারাগারের পাঠানোর তালিকায় ছিল না।

এ ছাড়া ২০১৯ সালে ভিয়েতনামে ১২, ইরানে ১১, রাশিয়া ও ক্যামেরুনে ৭, বাহরাইন ও আজারবাইজানে ৬, সিরিয়ায় ৫ এবং বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা ও মরক্কোয় ৪ জন করে সাংবাদিককে জেলে পাঠানো হয়েছে।

২০১৮ সালে ২৫১ জন সাংবাদিককে একনায়ক সরকারেরা জেলা পুরেছিল। এ বছর এই সংখ্যা চারজন বেড়েছে। এর মধ্যে কেউ কেউ যেমন ছাড়া পেয়েছেন, আবার এই সময়ের মধ্যে অনেক সাংবাদিককেই কারাগারে যেতে হয়েছে।

১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের অধিকার নিয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর সিপিজে। এ বছরের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিপিজে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close