নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ জুন, ২০১৯

পুঁজিবাজারে সুবিধা বাড়ল বিনিয়োগকারীদের

আগামী অর্থবছরে পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার থেকে প্রাপ্ত লাভের ওপর দ্বৈত কর পরিহার করা হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হয়। বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে বিশেষ প্রণোদনা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আগামী অর্থবছর থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করলে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে।

বাজেটে স্টক ডিভিডেন্ড কমিয়ে ক্যাশ (নগদ) ডিভিডেন্ড প্রদানে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা শেয়ারে বিনিয়োগ করে ক্যাশ ডিভিডেন্ড আশা করে। কিন্তু কোম্পানিগুলো ক্যাশ ডিভিডেন্ড না দিয়ে স্টক দিচ্ছে। এতে বিনিয়োগকারীরা প্রত্যাশিত প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন; যার প্রভাব পড়ে শেয়ার বাজারে। তাই কোম্পানিকে স্টক ডিভিডেন্ড প্রদান না করে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য কোম্পানির স্টক ডিভিডেন্ডের ওপর ১৫ শতাংশ কর প্রদানের প্রস্তাব করছি।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠান শেয়ার হোল্ডারদের ডিভিডেন্ড না দিয়ে রিটেইনড আর্নিংস বা বিভিন্ন ধরনের রিজার্ভ হিসেবে রেখে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এতে বিনিয়োগকারীরা ডিভিডেন্ড প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হন; যার প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়ে। কোনো কোম্পানির আয় বছরে রিটেইনড আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে যতটুকু বেশি হবে তার ওপর কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close