প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

গণিতে পাশ্চাত্যের চেয়েও এগিয়ে ছিল ভারত

গ্রিস, মধ্যপাচ্য ও প্রাচীন মিসরেরও বহু শতাব্দী আগেই গণিতের অবিশ্বাস্য সব আবিষ্কার করেছিলেন ভারতীয় গণিতবিদরা। চীনের মতো, ভারত অনেক আগে থেকেই ‘দশমিক’ ব্যবহারের সুবিধা খুঁজে পায়। ভারতের গণিতবিদরা তৃতীয় শতক থেকে এই দশমিক ব্যবহার করে আসছে। তারা কীভাবে দশমিক পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছে,

সেটা জানা যায়নি। তবে জানা গেছে, তারা এই পদ্ধতিটি পরে আরো পরিমার্জন এবং নিখুঁত করে তোলে। তাদের দেখানো নিয়মে আমরা এখনো সংখ্যার অবস্থান বুঝতে একক, দশক, শতক, সহস্র পদ্ধতি ব্যবহার করি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত এক থেকে নয় পর্যন্ত সংখ্যার ভিত্তি স্থাপন এবং নতুন একটি সংখ্যা, শূন্যের উদ্ভাবন হয়েছে ভারত থেকেই। ভারতের গোয়ালিয়র দুর্গের অভ্যন্তরে একটি ছোট মন্দিরের দেয়ালে শূন্য সংখ্যা ব্যবহারের প্রথম চিহ্ন পাওয়া যায়।

শূন্য : কাগজে-কলমে নবম শতক থেকে শূন্য ব্যবহারের কথা বলা হলেও এটি তারও শত শত বছর আগে থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে বলে ধারণা করা হয়। মধ্য ভারতের গোয়ালিয়র দুর্গের ভেতরের একটি ছোট মন্দিরের দেয়ালের ওপর এই অদ্ভুত সংখ্যাটি লিখিত অবস্থায় পাওয়া যায়।

শূন্য সংখ্যাটি সামনে আনার কারণে ভারতের এই অঞ্চলটি এখন গাণিতিক উপাসনার স্থান হয়ে উঠেছে। অথচ, ভারতের আগে এই সংখ্যাটির কোনো অস্তিত্ব ছিল না।

প্রাচীন মিসরে, মেসোপটেমিয়ান সভ্যতা ও চীনে, শূন্যের অস্তিত্ব থাকলেও সেটি ব্যবহৃত হতো শুধু সংকেত হিসেবে, একটি খালি স্থান বোঝাতে।

ভারতীয়রাই এই শূন্যকে একটি সংখ্যার রূপ দেয় এবং তাদের এই ধারণা গণিতে বিপ্লব ঘটায়। তখন থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের জন্য খুব দক্ষভাবে সংখ্যা গঠন করা সম্ভব হয়ে ওঠে। শূন্য সংখ্যাটির প্রাচীনতম লিখিত রূপ, যেটা একটি ভারতীয় মন্দির প্রাচীরে পাওয়া গেছে।

অঙ্ক করে যেভাবে ঠিক হতো চীনা সম্রাটের শয্যাসঙ্গী

শূন্য কীভাবে এসেছে সেটা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হয়, শূন্য সংখ্যাটি লেখার ক্ষেত্রে গোলাকৃতির যে প্রতীক ব্যবহার করা হয়, সেটি এসেছে মাটিতে গণনা করার জন্য ব্যবহৃত পাথরখ- থেকে। এই সংখ্যা আবিষ্কারের পেছনে সাংস্কৃতিক কারণ থাকতে পারে বলেও ধারণা করা হয়।

শূন্যতা ও চিরস্থায়ী, অবিনশ্বর এই ধারণাগুলোর প্রাচীন ভারতীয়দের বিশ্বাসের একটি অংশ। বৌদ্ধ ও হিন্দু উভয় ধর্ম চিরস্থায়ী বা অবিনশ্বর ধারণাটিকে লালন করে। সেখান থেকেই এসেছে এই শূন্যের ধারণা। ভারতীয়রা শূন্য শব্দটি খালি বা ফাঁকা বোঝাতে ব্যবহার করে। এ ছাড়া চলক রাশির মান নির্ণয়, ইনফিনিটি আবিষ্কার, এক্স ও ওয়াই সংখ্যার সমীকরণ সমাধান এবং ত্রিকোনমিতির সূত্র ব্যবহার করে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা। ‘পাই’-এর ব্যবহার। ‘পাই’ হচ্ছে বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাদের ভগ্নাংশ। এসব ক্ষেত্রে প্রাচীন ভারতের গণিতবিদরা বুৎপত্তি অর্জন করেছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close