চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

চট্টগ্রামে গণপূর্তমন্ত্রী

উন্নয়ন কাজে গাফিলতি সহ্য করা হবে না

উন্নয়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামকে প্রধানমন্ত্রী সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন জানিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, কাজের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিকূলতা থাকলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু কোনো অজুহাতে উন্নয়ন প্রকল্প থেমে থাকবে, জনগণ ভোগান্তির শিকার হবে এবং এর দায়ভার সরকারের কাঁধে যাবে, সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। সুতরাং সবাইকে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। উন্নয়ন কাজে কোনো হেলা-ফেলা সহ্য করা হবে না। গতকাল শনিবার সকালে সিডিএ চেয়ারম্যানের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, সিডিএকে কাজের গতি বাড়াতে হবে। ঢাকার রাজধানীর বাইরে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ আসে চট্টগ্রামে। কাজের গতি বাড়াতে হবে। প্রকল্পের ধীরগতি কিংবা অবহেলা আমি মেনে নেব না। চট্টগ্রামের উন্নয়ন আরো দ্রুত হতে হবে। কারণ চট্টগ্রাম ব্যবসায়ীর কেন্দ্রবিন্দু।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব কাজের পরিসর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় কী করবে, সিডিএ কী করবে, সিটি করপোরেশন কী করবেÑ এসব নির্ধারিত। সুতরাং গ-ির ভেতর থেকে কাজ করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, সব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। প্রতিষ্ঠান আলাদা হলেও সবার উদ্দেশ্য একই। সবাই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাই উন্নয়ন কাজ নিয়ে কোনো অজুহাত দেখানো যাবে না। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজের সমন্বয় করতে হবে।

উন্নয়ন কাজে সবার সহযোগিতা চেয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে উন্নয়নের যে ধারা সূচিত হয়েছে, সেটি চলমান রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তার সেই পরিশ্রমকে সম্মান করতে হবে।

সভায়, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দূর করতে চলমান প্রকল্পগুলো আগে বাস্তবায়ন করার দাবি জানান কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিল্পব। এ সময় সিডিএ চেয়ারম্যন আবদুচ ছালাম বলেন, চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী করার জন্য মহাপরিকল্পনা করেছি। প্রধানমন্ত্রী সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। চট্টগ্রামে ৫৭টি খাল রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি খাল খননের পরিকল্পনা করেছি। ১১ খালের কাজ চলছে। ধীরে ধীরে সব খাল খনন করা হবে।

চট্টগ্রামের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে কয়েক হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার অধিকাংশই মানবসৃষ্ট। মানুষকে সচেতন হতে হবে। যানজটমুক্ত চট্টগ্রাম করতে পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামীতে এর সফলতা আমরা পাব।

সিডিএ চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল হক আমিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শহিদুল্লাহ খন্দকার, সিডিএ সচিব তাহেরা ফেরদৌস, সিডিএ বোর্ড মেম্বার জসিম উদ্দিন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. শাহজাহান, মোস্তাফা জামাল প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close