বগুড়া প্রতিনিধি

  ১২ অক্টোবর, ২০১৮

গ্রেনেড হামলার মামলা

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালামের অপকর্ম জানে না তার গ্রামের মানুষ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাওলানা শেখ আবদুস সালামের বাড়ি বগুড়ার ধুনটে। ২০০৯ সালের ১ নভেম্বর সে ওই মামলায় গ্রেফতার হয়। আবদুস সালাম ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের পেঁচিবাড়ী গ্রামের মৃত মোজাহার আলী শেখের ছেলে। রায়ে মৃত্যুদণ্ড হলেও তার অপকর্ম সম্পর্কে সেখানকার মানুষ কিছুই জানেন না। মাওলানা শেখ আবদুস সালামের গ্রামের বাড়িতে তার একটি টিনের ঘর রয়েছে। তার দিকে কারো কোনো কৌতূহল নেই।

পেঁচিবাড়ী গ্রামবাসী জানান, ৪ ভাই ৩ বোনের মধ্যে আবদুস সালাম ছোট। শৈশবে ছাত্রজীবন কাটিয়েছে পাশের শেরপুর উপজেলায়। তাকে গ্রেফতারের পর শেরপুরের হামছায়াপুর গ্রামের নিজস্ব বাড়িতে স্ত্রী আলেয়া বেগম তার এক ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। আরো দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে, তারা শ্বশুর বাড়িতে থাকেন।

আবদুস সালাম ১৯৮৪ সালে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়াশুনা করার সময় পাকিস্তান যান। সেখান থেকে ওই বছরেই আফগানিস্তানে যান, সেই সময়ের সোভিয়েত সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে ফেরেন। এরপর তিনি হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ শাখার প্রতিষ্ঠা করে কার্যক্রম শুরু করেন। পরে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সক্রিয় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। কখনো পাকিস্তানি পাসপোর্ট, আবার কখনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন। ১৯৯৭ সালে আবদুস সালাম তার স্ত্রী সন্তানসহ বাংলাদেশি পাসপোর্টে পাকিস্তানে যান। ২০০২ সালে পাকিস্তানি পাসপোর্টে গফুর পরিচয়ে দেশে ফেরেন। এ সময় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়।

বগুড়ার শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির জানান, শেরপুর উপজেলার হামছায়ারপুর গ্রামের আবদুস সালামের বাড়ি মনিটরিং করা হচ্ছে।

বগুড়ার ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. এরফান বলেন, শেখ আবদুস সালামের আত্মীয় স্বজনদের বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

আবদুস সালামের ভাই মৃত গোলাম মোস্তফার স্ত্রী মরিয়ম বেগম জানান, মাদ্রাসায় পড়ালেখা করার কারণে ছোট বেলা থেকেই সে বাইরে থাকত। গ্রামের বাড়িতে খুব কম আসত। ২০০৯ সালের আগে একবার বাড়িতে এসেছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close