নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ মার্চ, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনা চলছিল ইয়াহিয়ার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মুহাম্মদ ইয়াহিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসেন। অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও আসে এদিনেই। জনগণকে ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে আহ্বান জানানো হয়।

বাংলার চলমান অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সকাল ১০টায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে মিলিত হন। কড়া সামরিক প্রহরার মধ্যে প্রেসিডেন্ট ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। এদিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক চলে। প্রথম দিনের মতোই আলোচনা শেষে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আলোচনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তবে আলোচনার পরবর্তী সময়ও ঠিক হয়নি।’

এদিকে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলি ভুট্টোকে ঢাকায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। ১৮ মার্চের দৈনিক সংবাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশগামী সব বিদেশি বিমানের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানগামী সব বিমানকে ভারতে একবার অবতরণ করতে বলা হয়েছে। বিদেশি বিমানে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সেনা বহন করে পূর্ব পাকিস্তানে নেওয়া রোধ করতে ভারত সরকার এমন ব্যবস্থা নেয়। অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ছাত্রছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ময়দানসহ বিভিন্ন এলাকায় কুচকাওয়াজ ও রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ শুরু করেন।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসকে ‘প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ উপলক্ষে ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের নেতারা ওইদিন ভোর ৬টায় সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সব ধরনের যানবাহনে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন, প্রভাতফেরী, শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জয় বাংলা বাহিনীর কুচকাওয়াজ এবং বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বটতলায় ছাত্র-জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বঙ্গবন্ধু,শেখ মুজিবুর রহমান
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close