reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘একজন ধর্ষক কীভাবে ছাত্রলীগের নেতা হতে পারে?’

একজন ধর্ষক মানসিকতার ছাত্র কীভাবে ছাত্রলীগের নেতা হতে পারে? কারা তাকে কীভাবে পদায়ন করলো? একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এমন পাশবিক কাণ্ড কীভাবে সম্ভব? তদন্তসাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া জরুরি। নইলে সামাজিক নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বলছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে, সে প্রসঙ্গে এক গণমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থী কী করে এমন জঘন্য কাজে যুক্ত থাকতে পারে! আমার কোনো বোধ কাজ করছে না, এরা শিক্ষার্থী কি না? এদের শিক্ষার্থী বলতে ঘৃণা হয়। অমানুষ! এরা কীভাবে একটি ছাত্র সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়, এটিই বড় প্রশ্ন।’

‘এমন অপরাধের শাস্তি দেওয়ার বিধান আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। চিরস্থায়ীভাবে ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। ধর্ষকদের সহপাঠীরাই শাস্তির দাবি চেয়ে আন্দোলন করছে। সারাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করছে। এ ঘটনা আমাদের সবাইকে চরম লজ্জায় ফেলেছে। এই অমানুষদের সঙ্গে কেউ সামাজিক সম্পর্ক রাখবে বলে আমার মনে হয় না। তাদের পরিবারও কেউ এমন ঘৃণ্য কাজে সমর্থন দেবে বলে মনে করি না।’

ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন। ছাত্রলীগ স্বাধীনতার সংগঠন। ছাত্রলীগ দেশের প্রতিটি নৈতিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে। সেই ছাত্রলীগে একজন ধর্ষকের জায়গা হবে তা কোনোভাবেই মানতে পারি না। কারা তাকে নিয়োগ দিলো, তার তদন্ত হওয়া দরকার। শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি এই ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। যাতে আর একটি ঘটনারও যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানেই পবিত্র জায়গা। পবিত্র জায়গায় এ অপবিত্র মানুষরা থাকতে পারে না।’

‘তিনভাবেই বিষয়টির তদন্ত করে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে দেখলাম। তবে আমি আশা করবো দ্রুত আজীবন বহিষ্কার করা হোক। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যেন একটি বার্তা থাকে।’

‘এরপর ছাত্রলীগ সংগঠন হিসেবে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কীভাবে তারা নিয়োগ পেলো সংগঠনে, তার সন্ধান করা। একজন অমানুষকে পদায়ন করাও এক ধরনের অপরাধ। তাদের ব্যাপারেও ব্যবস্থা নিতে হবে।’

প্রজাতন্ত্রের প্রচলিত আইনে ফৌজদারি অপরাধের যে বিধান তা অনুসরণ করে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা। রাষ্ট্রের কাছে সবাই এমনটি প্রত্যাশা করছি- বলছিলেন আরেফিন সিদ্দিক।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close