প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
এসব বই পড়তে বললেন বিল গেটস
খুব কম বয়সেই বই পড়ার প্রতি আমার ঝোঁক তৈরি হয়। শিশু হিসেবে আমার বাবা-মাও বই কিনতে আমাকে ইচ্ছামতোই টাকা দিতেন। তাই আমি প্রচুর পড়তাম। এভাবেই নিজের ছেলেবেলার কথা বলছিলেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ধনকুব বিল গেটস।
বিল গেটস গত মাসে হার্ভার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে কথা বলেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসব কথা বললেন বিল গেটস। ধনকুবের জানান, একটা শিশু হিসেবে তার এই আগ্রহই তার জীবনে সফলতার পেছনে একটা বড় কারণ।
বিল গেটস বলেন, অনেক মানুষ জীবনের ২০ বছর বা ৩০ বছরের দিকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। যদি আপনি তাদের একটা বড় মোটা বই উপহার দেন, তারা কী করবে? তারা কী পড়বে? বিশেষ করে, মানুষ পাঠ্যবই বা খুব জটিল বা গভীর বই পড়তে পছন্দ করে না। কিন্তু এমন কিছু বই আছে, যা আপনার জীবনে একবার হলেও পড়া উচিত। কিছু বই পড়তে শিক্ষার্থীদের পরামর্শও দিয়ে দিলেন বিল গেটস।
লেখক স্টিভেন পিংকারের সব সময়কার জনপ্রিয় বই, ‘দ্য বেটার অ্যাঞ্জেলস অব আওয়ার নেচার’ এবং ‘এনলাইটেনমেন্ট নাও।’ গেটস তার ব্লগে এই বইটি প্রসঙ্গে লিখেন, পিংকার এই বইটিতে সুস্পষ্ট গবেষণার মাধ্যমে যুক্তি দিয়ে বলতে চেয়েছেন, মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ সময়টাতে বসবাস করছি। পৃথিবী দিন দিন ভালো হচ্ছে। যদিও সব সময় তেমনটা মনে হয় না। আমি খুবই আনন্দিত, পৃথিবীকে এইভাবে দেখতে আমদের কাছে পিংকারের মতো লেখক রয়েছেন।
বিল গেটস আরো বলেন, আমি লেখক হ্যানস রোজলিংয়েরও অনেক বড় ভক্ত। যার লেখা বই ‘ফ্যাক্টফুলনেস’ আমার পড়া এদিন কালের শিক্ষণীয় বইগুলোর একটি। এটা এমন কিছু বিষয় নিয়ে, যা শেখাটা এতটা সোজা নয়। পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ যদি সত্যিই বইটা পড়ে, পৃথিবীটা আসলেই সুন্দর হবে। তিনি তার রিভিউতে আরো তিনটি বই পড়ার পরামর্শ দেন।
বইগুলো হলো— ডোনাল্ড আর হপকিন্সের বই ‘প্রিন্সেস অ্যান্ড পিসেন্টস; স্মলপক্স ইন হিস্ট্রি’, গর্ডন হেরিসনের বই, ‘মস্কিউটোস, ম্যালেরিয়া অ্যান্ড ম্যান; এ হিস্টোরি অব দ্য হস্টিলিটিজ সিন্স ১৮৮০’ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রকাশিত বই, ‘ইনভেস্টিং ইন হেলথ; ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট ১৯৯৩’।
আজীবন ধরে আগ্রহ ধরে রাখতে বিল গেটস আগ্রহী মানুষদের চারপাশেই থাকার পরামর্শ দেন।
পিডিএসও/তাজ