reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩০ মার্চ, ২০২৪

এমপির ভাই বড় মনির

এক ধর্ষণের মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে ফের ধর্ষণের অভিযোগ

ফাইল ছবি

টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভির হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে ফের ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর তুরাগ থানায় এমন অভিযোগ করেছেন এক কলেজছাত্রী। অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন মেয়েটি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) মধ্যরাতে ৯৯৯ এ কল পাওয়ার পর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডে একটি বাড়ির ফ্ল্যাট থেকে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বড় মনিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। গত বৃহস্পতিবার উত্তরার জমজম টাওয়ারে প্রথম দেখা হয় তাদের। শুক্রবার রাতে আবারও রেস্টুরেন্টে দেখা করার কথা বলে ডেকে নেয় বড় মনির। সেখান থেকে অস্ত্রের মুখে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ তার।

ওই তরুণী আরও বলেন, আমি ওনাকে বড় ভাইয়ের মতো ভাবতাম। উনি আমাকে অস্ত্র দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। আমি বার বার ওনার কাছে মাফ চেয়েছি যাতে আমার কোনো ভুল থাকলে আমাকে মাফ করে দেয়। তবুও রেহাই মেলেনি।

তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাফরান জানান, জরুরি সেবায় কল পেয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। এখন মেয়েটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

এসআই জাফরান জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। মেয়েটি এখন থানা হেফাজতে আছে। তার সঙ্গে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

এদিকে পুলিশ আসার খবরে অভিযুক্ত বড় মনির রাতেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ তরুণীর জবানবন্দি নিয়েছে। আজ মামলা হতে পারে।

বড় মনিরের বিরুদ্ধে এর আগেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর ডেকে নিয়ে তিনি ধর্ষণ করেন বলে এক নারী মামলা করেন।

২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল রাতে ওই নারী বাদী হয়ে গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। সেখানে মূল অভিযুক্তের স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়।

ওই তরুণী অভিযোগ করেন, বড় মনির মূলত তার সম্পত্তির সমস্যা সমাধান করে দেবে বলে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং বিভিন্ন রকমের ছবি তোলেন। এ সময় ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করলে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর সেই ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে বড় মনির আরও কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ করেছিলেন মেয়েটি।

পরে জন্ম নেওয়া ওই পুত্র সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করা হলে দেখা যায়, শিশুটির সঙ্গে বড় মনিরের ডিএনএ মেলেনি। এর ভিত্তিতে গত বছরের ৯ অক্টোবর ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের পর শুনানি শেষে বড় মনির জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এরপর ওই বছরের ১৮ নভেম্বর বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের বোয়ালী এলাকা থেকে বড় মনির বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলার ওই বাদীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পিডিএস/এমএইউ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ছোট মনির,বড় মনির,টাঙ্গাইল-২ আসন,উত্তরা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close