যশোরে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করায় সাবেক স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় সাবেক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার মঠবাড়ী গ্রামে বুকভরা বাঁওড়ের পাড় থেকে শাড়ি পরা ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ সময় মরদেহের পাশ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে ফোনের সূত্র ধরে ওই নারীর পরিচয় ও অভিযুক্ত সাবেক স্বামীকে আটক করে পুলিশ।

নিহত ওই নারীর নাম খাদিজা খাতুন ওরফে মিতু কর্মকার। তিনি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া কৃষ্ণনগর গ্রামের আজগর আলী সরদারের মেয়ে। বিয়ের পর ধর্মান্তরিত হয়ে মিতু কর্মকার নাম রাখেন তিনি।

আটক মৃন্ময় ভদ্র যশোর সদর উপজেলার চান্দুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দামোদরকাঠি গ্রামে বসবাস করেন।

যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপণ কুমার সরকার জানান, দুই বছর আগে মিতু ও মৃন্ময়ের বিয়ে হয়। এরপর বিচ্ছেদ হয়। তারপরও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে মিতুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাঁওড় পাড়ে একটি ধান ক্ষেতে লাশ ফেলে পালিয়ে যান মৃন্ময়। মরদেহের পাশে পড়ে থাকা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে মৃন্ময়কে তার এক কাকার (চাচা) বাড়ি থেকে আটক করা হয় জানান তিনি।

আটক মৃন্ময় ভদ্র জানান, বিচ্ছেদ হওয়ার পরেও বিভিন্ন সময় তাকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করে টাকা চাওয়ার কারণে তাকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থেকে ডেকে এনে হত্যা করা হয়।

পিডিএস/আরডি