ঢাকার ধামরাই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের চরচৌহাট গ্রামের এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক মোঃ বাদশা মিয়া (৫৫) নামে একজনকে আটক করেছে কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।

সোমবার বেলা ১১টার সময় চৌহাট ইউনিয়নের চরচৌহাট গ্রামে বাদশা মিয়ার নিজ বাড়িতে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষক মোঃ বাদশা মিয়া ধামরাই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের চরচৌহাট গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। বাদশা মিয়া সৌদিআরব প্রবাসী এক গৃহধূর স্বামী।

এই বিষয়ে প্রতিবন্ধী তরুণীর মা জানান, ,আমার শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে পায়ে হেঁটে সোমবার পাশের চর চৌহাট গ্রামে ফুপা জসিম উদ্দিনের বাড়িতে রওয়ানা দেয়। উত্তর চর চৌহাট এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় সৌদিআরব প্রবাসী এক গৃহবধূর স্বামী মোঃ বাদশা মিয়া মজা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে আমার শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবক বাদশা মিয়াকে ঘরে আটক করে। পরে খবর পেয়ে সমাজ প্রধান মাতব্বর আওলাদ হোসেন ওই অভিযুক্ত বাদশা মিয়াকে তার বাড়িতে ৬ ঘণ্টা তালা লাগিয়ে আটকে রাখেন। এরপর মঙ্গলবার রাতে গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি জুতাপেটার মাধ্যমে মীমাংসা করার আশ্বাস দিয়ে ধর্ষক বাদশা মিয়াকে ছেড়ে দেন। বাদশা মিয়া আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করেছে। আমি এর কঠিন শাস্তি চাই। এ ছাড়া লজ্জায় তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হযেছে।

এই ব্যাপারে চৌহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার সিকদার বলেন, মাতব্বর আউলাদ হোসেন ও তার ভাই জামাল উদ্দিন ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষক বাদশা মিয়াকে ছেড়ে দিয়েছে। আমরা ধর্ষক ও মাতব্বরদের গ্রেপ্তারের দাবি করছি।

এই বিষয়ে মাতব্বর আওলাদ হোসেন ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, বাদশা মিয়াকে হাতে নাতে আটক করা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু মঙ্গলবার রাতে গ্রাম্য সালিশে জুতাপেটার মাধ্যমে তার বিচার করা হবে বলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ রাসেল মোল্লা বলেন, খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে মোঃ বাদশাকে তার নিজ এলাকা থেকে আটক করি। ধর্ষণের ঘটনা কোনওমতেই গ্রাম্য সালিশে মীমাংসাযোগ্য নয়, প্রচলিত আইনেই এর বিচার হবে ।