কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
কেন্দুয়ায় মহিলা মাদরাসার পরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
নেত্রকোনার কেন্দুয়ার রোয়াইলবাড়ী বাজারে আশরাফুল উলুম জান্নাতুল মাওয়া মহিলা মাদরাসার এক ছাত্রী ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে ৩/৪ মাসের অন্ত:সত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে শিশুটির পিতা।
সোমবার সরেজমিনে গেলে জানা যায়, রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের চরআমতলা কোনাবাড়ী গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে আবদুল হালিম একটি অর্ধ-আবাসিক মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এই মাদরাসায় পড়তো একই এলাকার ওই মেয়ে শিশু (১২)।
মেয়ের বাড়িতে গেলে ভিকটিমের চাচা আতাউর রহমান ও বাড়ির লোকজন জানান, মা হারা শিশু মেয়েটি মাদরাসায় পড়তো। গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে হঠাৎ মেয়ের পেটে ব্যথা হয়। এক পর্যায়ে রক্তক্ষরণ হলে অন্ত:সত্বা বিষয়টি নজরে আসে। মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, কয়েক মাস আগে মাদরাসার হুজুর আবদুল হালিম সাগর তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে, ফলে সে অন্ত:সত্বা হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে অসুস্থ হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা ধর্ষণকারীর হুজুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান জানান, ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে মাদরাসার পরিচালক আবদুল হালিম সাগরকে আসামি করে রোববার রাতে নারী শিশু আইনে মামলা করেছে। পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পেমই তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, আসামির বাড়িঘরে তালা দিয়ে পালিয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
পিডিএসও/হেলাল