সাহারুল হক সাচ্চু, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)

  ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯

নদীর তলদেশে আবাদ

উল্লাপাড়ায় ক্রমেই কমছে নদীগুলোর গভীরতা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মধ্য দিয়ে ১০-১২টি নদী বয়ে গেছে। রয়েছে বহুসংখ্যক নালা ও খাল। বড় নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বরসতী, মুক্তাহার, ঝবজবিয়া, গোহালা, কচুয়া, গুমানি, মরা করতোয়া, কাটা গাঙ, বিলসূর্য্য।

জানা যায় যমুনা, ফুলজোড় ও করতোয়ার শাখা-প্রশাখা নদীগুলোতে চার দশক আগেও সারাবছরই পানি থাকতো। কিন্তু বর্তমানে পলি পড়ে ক্রমাগত গভীরতা কমছে নদীগুলোর। ফলে ভরা বর্ষার ক’মাস পানিতে ভরপুর থাকলে শুকনো মৌসুমের শুরু থেকেই থাকেনা পানি প্রবাহ। আর এ সুযোগে চলছে নদী দখলের প্রতিযোগিতা। স্থানীয়রা নদীর তলদেশ জুড়ে চাষ করছেন বোরো, গম, তিলসহ বিভিন্ন ফসল। নদীর এপার-ওপারের জমি মালিকেরা সমঝোতা করেই নদী গুলোর তলায় চাষাবাদ করছেন বলে জানা গেছে। অনেক জায়গায় নদীতে ব্যাক্তি মালিকানায় ডোবা কেটে মাছ চাষ করা হচ্ছে। কেউ কেউ নদীর পাড় দখল করে তৈরি করছেন অবৈধ স্থাপনাও।

এদিকে, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, নাব্যতা সঙ্কট কাটাতে উল্লাপাড়ার মরা করতোয়া, কাটা গাঙ ও বিলসূর্য্য নদী তিনটির পুনঃখনন করা হবে। এর মধ্যে মরা করতোয়া সাড়ে ১৭ কিলোমিটার, কাটা গাঙ ৪৫ কিলোমিটার ও বিলসূর্য্য’র ১২ কিলোমিটার অংশ পুনঃখনন করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড উল্লাপাড়া উপবিভাগীয় কার্যালয়ের এসডিই মাহমুদ হাসান জানান, ৬৪ জেলার অভ্যন্তরস্থ নদী-নালা ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে এ নদী তিনটি পুনঃখননে যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে আনা হয়েছে। অতি দ্রুত খননের কাজ শুরু করা হবে। তিনি জানান, নদীগুলো খনন হলে নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ফিরে আসবে। শুকনো মৌসুমে পানি মজুদ, কৃষি ক্ষেত্রে সহজ সেচ পদ্ধতি চালু ও মৎস্যজীবিরা নদীতে মাছ শিকার করতে পারবেন। তিনি আরো জানান, নদীর কোথাও অবৈধ স্থাপনা কিংবা অবকাঠামো থাকলে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তা দখলমুক্ত করা হবে।

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুজ্জামান বলেন, নদীর অংশ দখল করে কেউ কোন স্থায়ী স্থাপনা কিংবা অবকাঠামো গড়লে অবশ্যই তা অবৈধ। এমন স্থাপনা কিংবা অবকাঠামো কেউ গড়লে এবং এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই আইন মোতাবেক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close