গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা
৭ দিনে আক্রান্ত ৫১০
গোপালগঞ্জে ডায়রিয়া পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা। জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে জেলায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫১০ জন রোগী। এদিকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত সিট না থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। হাসপাতালের বারান্দা, ফ্লোর ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বাইরে রোগীদের রেখে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো বেডে দুজন রোগী অসহনীয় পরিবেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীরা কাক্সিক্ষত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ অনেকেরই।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রচন্ড গরম ও খাবার পানিতে লবণ চলে আসায় গোপালগঞ্জ শহরের পাশাপাশি টুঙ্গিপাড়া, কোটালিপাড়া, মুকসুদপুর ও কাশিয়ানিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে চিকিৎসক, নার্সসহ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত সাত দিনে গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৫১০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। জেলা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৫টি সিট রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। ডায়রিয়া আক্রান্ত রুহুল আমিন (৪৫) বলেন, দিনে দু’বার চিকিৎসকের আসার কথা কিন্তু আসছেন মাত্র একবার। তারা দায়সারা চিকিৎসা দিচ্ছেন।
সদর হাসপাতালে ভর্তি রোগী মাসুদা বেগম (২০) বলেন, ভর্তির সময় জরুরি বিভাগ থেকে যে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হচ্ছে, সে অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা মিলছে না। নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ডায়রিয়া ওয়ার্ড একটু নোংরা থাকতে পারে। আমরা লোকবল দিয়ে পরিষ্কার করে দিচ্ছি।
দিনে দু’বার চিকিৎসকরা রাউন্ডে যাচ্ছেন। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডায়রিয়ার ওষুধ মজুদ রয়েছে।
হাসপাতাল থেকেই রোগীদের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
"