নিজস্ব প্রতিবেদক
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ
কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণের আহ্বান
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা দেশে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাই নিশ্চিত করার জন্য সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার অনুরোধ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের নির্দেশনার আলোকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার বিভাগের এ-সংক্রান্ত দুটি সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কোনোভাবে উন্মুক্ত স্থানে বা সড়কে কোরবানি দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সড়ক ও মহাসড়কে পশুর হাট না বসানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। বাড়ির আঙিনায় কোরবানির পর নিজ দায়িত্বে বর্জ্য অপসারণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আঙিনায় পশু কোরবানি করা হলে আয়োজকদের স্ব-উদ্যোগে বর্জ্য অপসারণের জন্য বলা হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, কোরবানির প্রতিটি পশুর হাটে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্ধারিত কোরবানির স্থান ইলেকট্রনিক ডিজিটাল ডিসপ্লেতে জনগণকে জানানোর ব্যবস্থা করা হবে। কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থানগুলো স্বাস্থ্যসম্মত রাখার পাশাপাশি বর্ষাকাল বিবেচনায় সামিয়ানা-ত্রিপল টাঙানো হবে। জবাই করা পশুর রক্ত অপসারণের জন্য ড্রেনেজ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পশু জবাই কাজে স্থানীয় যুব সংগঠন, সমবায় সংগঠনকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারি সার্জনের সমন্বয়ে মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেডিকেল টিম ক্ষতিকর স্টেরয়েড প্রয়োগকরা পশু ও অসুস্থ পশু শনাক্ত করবে এবং এ ধরনের পশু যাতে পশুর হাটে প্রদর্শন বা বিক্রি না হয়, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
"