reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

চুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ক্লাস-পরীক্ষাসহ সh একাডেমিক কার্যক্রম ১৫ দিন বন্ধ থাকবে। ১২ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম আবার চালু হবে। তবে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েটের ১৫২তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম।

চুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা রাশেদ পারভেজ বলেন, ’১১ মে পর্যন্ত সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১২ মে থেকে কার্যক্রম পুনরায় চালু হবে। তবে শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন।’

জানা গেছে, সিন্ডিকেট সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ছাত্রের মৃত্যু এবং এর প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতির নেপথ্য অনুসন্ধানে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া ২৮ এপ্রিল থেকে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চলবে।

গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের জিয়ানগর এলাকায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দেয়। মোটর সাইকেলে আরোহী হিসেবে চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই শান্ত সাহা (২০) ও তৌফিক হোসেন (২১) নামে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। শান্ত চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০ ব্যাচের ও তৌফিক ২১ ব্যাচের ছাত্র। একই ঘটনায় জাকারিয়া হিমু আরেকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেফতার করে।

ঘটনার পর সোমবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন।

আন্দোলনের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে চুয়েটের পরীক্ষাসহ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এতে ছাত্রদের বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ ঘোষণার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বরে থাকা ও মূল ফটকে রাখা শাহ আমানত পরিবহনের দু’টি বাসে তারা আগুন ধরিয়ে দেন। এছাড়া বিকেলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার প্রায় দু’ঘণ্টা ওই ভবনে অবরুদ্ধ হয়ে থাকেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠকে বসে প্রশাসন। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ও হলত্যাগের নির্দেশনা পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দেয় চুয়েট প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের হলে থাকারও অনুমতি দেওয়া হয়।

এরপর রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে করে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয়। এর মধ্য দিয়ে অবরোধ তুলে নিলে চারদিন পর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close