নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৮ জুন, ২০১৯

ঈদ-পরবর্তী কাঁচাবাজার

আদা পাইকারিতে কেজিতে বেড়েছে ৭০ টাকা

রাজধানীর বড় কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজার। এখানে পাইকারি ও খুচরাÑ দুভাবেই শাকসবজি বিক্রি হয়। গতকাল শুক্রবার কারওয়ান বাজার ঘুরে পেঁয়াজ, নেদারল্যান্ডস আলু, আদা, রসুন, মরিচ, করলা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স ও শসার পাইকারি দরদামের খোঁজ নেওয়া হয়।

তাতে দেখা গেছে, চীনা ও ভারতীয় আদার দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। রোজার সময়ের তুলনায় এখন চীনা আদা প্রতি কেজিতে পাইকারি দামই বেড়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ভারতীয় আদার দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। তবে দেশি আদার দাম একই আছে।

এ ছাড়া পাইকারি দাম বেড়েছে নেদারল্যান্ডস আলু, শুকনা মরিচের। স্থিতিশীল আছে পেঁয়াজ ও শুকনো হলুদের দাম। শবজির মধ্যে হাইব্রিড করলা ও ঢেঁড়সের দাম বেড়েছে, স্থিতিশীল আছে চিচিঙ্গার দাম এবং অর্ধেকে নেমে এসেছে শসার দাম।

আড়তদাররা বলছেন, ঈদের কারণে স্থানীয় বাজার থেকে মালামাল আসছে না। অন্যদিকে ক্রেতাও কম। তাই তারা মালামালের দাম কিছুটা বাড়িয়ে দিয়ে বিক্রি করছেন।

আদার আড়তদার মো. জসিম উদ্দিন জানান, প্রতি কেজি চীনা আদা ১৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান আদা ১২০ থেকে ১৩০, দেশি আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকায় পাইকারি বিক্রি করছেন তিনি। রমজানে চীনা আদা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ভারতীয় ৮০ থেকে ৯০ এবং দেশি আদা ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছেন। অর্থাৎ পাইকারিভাবেই চীনা আদা কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে, ভারতীয় আদা ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে এবং দেশি আদার দাম প্রায় একই আছে।

আদার বাড়তি দামের বিষয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে এখন চীনা ও ভারতীয় আদা নতুন করে আসছে না। ঈদের ছুটির পর ব্যাংক চালু হলে তখন ভারত ও চীন থেকে আদা আমদানি শুরু হলে দাম স্বাভাবিক হতে পারে। আর আমদানি কম হলে এই দামই থাকতে পারে। আমদানি বেশি হলে দাম কমে যাবে।’ বিক্রি কম হচ্ছে। তবে একটু বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি। সাগর নামে আড়তের এক কর্মচারী জানান, বাজারে আগে যেগুলো মালামাল ছিল সেগুলোই এখন বেশি দামে বিক্রি করছেন আড়তদাররা। নতুন কোনো মালামাল বাজারে আসেনি। চীনা আদার দাম একটু বেশি বেড়েছে। রসুনও বিক্রি করেন জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, রসুনের দামে খুব একটা হেরফের হয়নি। চীনা রসুন এখন ১০৫ থেকে ১১০ টাকা এবং দেশি রসুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। রমজানেও প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।

পেঁয়াজের আড়তদার মো. আনোয়ার বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ তিনি পাইকারি বিক্রি করছেন ২২ থেকে ২৩ টাকা কেজি। রমজানেও প্রায় একই দামে বিক্রি করেছেন।’ নেদারল্যান্ডস আলুর আড়তদার নাসির শেখ জানান, এক পাল্লা (৫ কেজি) আলু ৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। রোজায় দাম আরো কম ছিল। তখন ৭০ টাকা প্রতি পাল্লা বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, রোজার সময় নেদারল্যান্ডস আলুর আমদানি একটু বেশি ছিল। তাই দামও একটু কম ছিল। এখন আমদানি কম, তাই দাম বাড়ছে। ঈদের জন্য আলু ঢাকায় আসছে না। আবার আমদানি শুরু হলে দাম কমে যাবে বলে জানালেন এই বিক্রেতা।

বাজারে শুকনো মরিচ ভালোটা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি, একটু নিম্নমানেরটা ১৮০ টাকা কেজি। রোজার সময় ভালোটা বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়। শুকনো হলুদ ভালোটা ২০০ টাকা এবং একটু নিম্নমানেরটা ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ‘বাজারে ক্রেতা কম। তাদের কাছে বাড়তি দামে বিক্রি করে পুষিয়ে নেওয়া হচ্ছে’Ñ বললেন আড়তের এক কর্মচারী।

হাইব্রিড করলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি, যা রমজানে ছিল ১২ থেকে ১৪ টাকা কেজি। এর দাম কিছুটা বেড়েছে। চিচিঙ্গা ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, রমজানেও তাই ছিল। রমজানে ঢেঁড়স ছিল ১৫ টাকা, এখন ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসার আড়তদার মো. হারুন জানান, এখন ১০ টাকা কেজি শসা বিক্রি করছেন। রমজানে ছিল ২০ টাকা কেজি। অর্থাৎ শসার দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। এই আড়তদারদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা কিনে নিয়ে, তারা এগুলো আরো বেশি দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close