জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত সম্পূর্ণ নতুন বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ। আজ রোববার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বিমানের প্রথম ড্রিমলাইনারটি। এ উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫টি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিমান থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে পৌঁছার পর ড্রিমলাইনারকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে। বিমানটি দেশে আনতে ১৫ আগস্ট বিমানের চেয়ারম্যান এয়ারমার্শাল (অব.) ইনামুল বারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির এভারেট ডেলিভারি ও অপারেশন্স সেন্টারে যান।

২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২.১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে বিমান। ইতোমধ্যে ৪টি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর ও ২টি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকি ৪টি উড়োজাহাজই বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। এর প্রথমটি আজ দেশে আসছে। দ্বিতীয়টি এ বছরের নভেম্বরে এবং সর্বশেষ ২টি ড্রিমলাইনার বিমান বহরে যুক্ত হবে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। জানা যায়, বিমানের বহরে যুক্ত হতে যাওয়া ৪টি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস। আজ দেশে আসা ড্রিমলাইনারটি হলো আকাশবীণা।

বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর ড্রিমলাইনারের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন রাতে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে উড়োজাহাজটি। ড্রিমলাইনার দিয়ে প্রাথমিকভাবে ঢাকা-সিঙ্গাপুর ও ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। আকাশবীণায় আসন থাকছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস।

বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে ইন্টারনেট ও ফোনকলের সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।

"