জীবনযাপন ডেস্ক

  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সাজে শরতের শুভ্রতা

‘নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলারে ভাই-লুকোচুরি খেলা।’ রবিঠাকুরের এ গানেই ভেসে ওঠে শরতের চিত্রকল্প। প্রকৃতির এই রোদ-ছায়ার খেলা প্রভাব ফেলে আমাদের মনেও। আর তখন ইচ্ছে করে শরতের সাজে সেজে উঠতে। শরতের এই মনমাতানো সাজ কখনো উঠে আসে বাঙালি নাড়ির শাড়ির আঁচলে এক টুকরো নীল আকাশ হয়ে, কখনো শরতের কাশবন যেন দোলা দিয়ে যায় কামিজের প্রান্ত ছুঁয়ে। পোশাকে সাদার ছোঁয়া আর সাজে চাই পরিপাটি ভাব। হালকা মেকআপের এই লুকে আপনি হয়ে উঠবেন অসাধারণ।

আপনার সাজ

প্রকৃতির এ সময়ে সাজগোজে ব্যাপক পরিবর্তন হয়। তবে, এ পরিবর্তন নির্ভর করে নিজস্ব রুচির ওপর। যারা একটু বেশি রঙিনভাবে সাজতে চান তারা পোশাকের রঙের বিপরীত রংও বেছে নিতে পারেন। এটি চোখের কাজল, শ্যাডো, লিপস্টিক সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। দিনের বেলা ব্লাশন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কপালে টিপ দিতে পারেন। এরপর হালকা মেকআপ করে ডার্ক ব্রাউন আইব্রো শ্যাডো দিয়ে আইব্রো শেপ করে নিন। স্কিন কালার লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট ভালো করে একে নিন। এবার ঠোঁটে স্কিন কালার লিপস্টিক দিন। সবশেষে সামান্য সিমারি গোল্ডেন লিপগ্লস দিন। সামনের দিকে একপাশ সিঁথি করে চুল হালকা পাফ করে নিন। এবার পেছনের চুলগুলো চিকন বেণি করে পেঁচিয়ে খোঁপা করে নিন।

শরতের পোশাক

শরতের সাজে শাড়িই বেশ ভালো মানায়। একরঙা সাদা বা অফ-হোয়াইট শাড়ি বেছে নিতে পারেন। তবে ব্লাউজটা হওয়া চাই একটু গর্জিয়াস। শাড়ির সৌন্দর্যটা পুরোপুরি নির্ভর করছে ব্লাউজের কাটিং এবং ডিজাইনের ওপর। ভারী কাজের একটি ব্লাউজ শাড়িকে আরো বেশি গর্জিয়াস করে তোলে। তবে আপনার শাড়ি যদি গর্জিয়াস হয়, তাহলে সিম্পল ব্লাউজ পরলে বেশি ভালো লাগবে। চাইলে স্লিভলেস ব্লাউজ পরতে পারেন। মানাবে ভালো।

গয়না

যেহেতু সাজটা স্নিগ্ধ, তাই জমকালো গয়না না পরাই ভালো। কানে হালকা একটা দুল পরে নিন। তবে সাদা বা সিলভার রঙের দুল বেছে নিতে পারেন। আর হাতে ভারী একটা ব্রেসলেট পরুন। শাড়ির সঙ্গে এ ধরনের গয়না আপনাকে আরো বেশি স্নিগ্ধ করে তুলবে।

ত্বকের যত্ন

সকালে বা দিনের যেকোনো সময় আর রাতে ঘুমানোর আগে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। যত নরম সাবানই হোক, তাতে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নানা উপাদান থাকে। নিয়মিত সাবান ব্যবহারে মুখের ত্বকে বলিরেখা পড়তে পারে। মুখের ত্বকে তাই সাবান ব্যবহার না করাই ভালো। সপ্তাহে একদিন যেকোনো স্ক্রাব দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। ত্বকে যাতে তেল না জমে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। নইলে তেল আর ময়লা জমে ব্রণ হতে পারে। ত্বকের তেলতেলে ভাব কাটাতে কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করুন। বরফ দিয়ে ম্যাসাজ করলেও উপকার পাবেন। রাতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঘুমালে অবশ্যই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। সব সময় নামি প্রতিষ্ঠানের তৈরি প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করবেন।

চুলের যত্ন

এ সময় প্রতিদিন চুল ধুতে হবে। যারা বাইরে বেশি কাজ করেন, তারা সম্ভব হলে প্রতিদিনই চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে কন্ডিশনার লাগান। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন মাথায় গরম তেল ম্যাসাজ করুন। নারিকেল তেলই চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো। সারা রাত লাগিয়ে রেখে পরদিন শ্যাম্পু করুন। এতে ঘুমও ভালো হবে। তেলের সঙ্গে যেকোনো প্রোটিনসমৃদ্ধ প্যাকও লাগাতে পারেন। ডিম, আমলা, টকদইÑএসব দিয়ে তৈরি প্যাক লাগালে ভালো। রাতে ঘুমানোর আগে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। লম্বা চুল হলে পাতলা স্কার্ফ দিয়ে মুড়িয়ে ঘুমাতে পারেন। চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার ভয় থাকবে না। দিনে চলাফেরার সময় চুল বেঁধে রাখলে কম ময়লা হবে। খুশকি থেকে বাঁচতে চুল সব সময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন। এ জন্য চুল ধুয়ে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close