নিজস্ব প্রতিবেদক
৭ মার্চের ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি
সোহরাওয়ার্দীতে নাগরিক সমাবেশ আজ
সোহরাওয়ার্দীতে নাগরিক সমাবেশ আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাগরিক সমাবেশে বিশাল গণজমায়েত ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ সমাবেশকে সাম্প্রতিক কালের সর্ববৃহৎ সমাবেশে পরিণত করার প্রত্যাশা করছে দলটি। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় আজ শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশকে রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছে আওয়ামী লীগ। এ কারণে সমাবেশে ব্যাপক গণজমায়েতের মাধ্যমে বিশাল জনসমাবেশে রূপ দিতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর দীর্ঘদিন পর রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশ থেকে নেতাকর্মী এনে ঢাকায় শোডাউন করেছে দলটি।
এরপরই ১৮ নভেম্বর সোহওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের নাগরিক সমাবেশ হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন নিয়ে আয়োজিত এই সমাবেশকে রাজনৈতিক কাউন্টার বা পাল্টা শোডাউন নয় বলে দাবি করেছে ক্ষমতাসীন দল। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের একটি নাগরিক গণজমায়েত আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার নাগরিক সমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুত কাজ দেখতে যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ সময় তিনি বলেন, স্বাধীনতায় বিশ্ববাসী দেশের প্রতিটি নাগরিক, যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে তারা সবাই এই নাগরিক সমাবেশে যোগ দেবে বলে আমরা আশা করছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশ এ যাবতকালে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে। এটা আওয়ামী লীগের সমাবেশ নয়, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিশ্বের ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় নাগরিক সমাজ এই সমাবেশের আয়োজন করেছে।
নাগরিক সমাবেশ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের স্বাধীনতার অস্তিত্ব। বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মূল মন্ত্র হিসেবে কাজ করেছিল। এই ভাষণ বিশ্বে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় নাগরিক সমাজ এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করেছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, ব্যাপক ও বিশাল জনসমাগম ঘটানো হবে এই নাগরিক সমাবেশে। আমরা প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে কর্মিসভা, বর্ধিতসভা করে বলে দিয়েছি সর্বোচ্চ জমায়েত নিয়ে আসতে। ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছে। নেতাকর্মী-সমর্থকরা উৎসবমুখর পরিবেশে সমাবেশে অংশ নেবেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান বলেন, সমাবেশে জনসমাগম ঘটাতে বিশাল প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। আমরা থানা, ওয়ার্ডে বর্ধিতসভা করেছি। সমাবেশে ব্যাপক গণজমায়েত হবে। ৭ মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি সবাই মিলে উদযাপন করব।
"