নিজস্ব প্রতিবেদক
চালের আমদানি শুল্ককমে ২ শতাংশ
বড় বন্যার পূর্বাভাস সামনে রেখে খাদ্য মজুদ বাড়াতে মরিয়া সরকার। এ জন্য দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা চালের আমদানি শুল্ক কমাতে যাচ্ছে। শুল্কের হার এখনকার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হচ্ছে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, আরো বেশি চাল আমদানির লক্ষ্যেই সরকার আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মজুদ তলানিতে নেমে আসায় চাল বাজারের অস্থিরতায় লাগাম দিতে গত ২০ জুন আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। পরে এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়। তার আগে বিদেশ থেকে চাল আনতে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কের সঙ্গে ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি দিতে হতো। জুনে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করার পাশপাশি রেগুলেটরি ডিউটি পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়।
এপ্রিলের শুরুতে আগাম বন্যায় হাওরে ফসলহানি এবং বাজারে অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে সরকার সেসময় শুল্ক কমানোর পাশাপাশি সরকারি পর্যায়ে আমদানি শুরু করলেও মজুদ পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হয়নি।
গত বছর এপ্রিলে যেখানে সরকারি গুদামগুলোতে সাড়ে ৭ লাখ টনের বেশি চাল ছিল, সেখানে এ বছর ১৫ জুলাইয়ে তা ১ দশমিক ২৩ লাখ টনে দাঁড়ায়। সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি শুরুর পর ১০ আগস্ট চাল মজুদের পরিমাণ বেড়ে ২ লাখ ৮৭ হাজার টন হলেও গত বছরের মজুদের তুলনায় এই পরিমাণ প্রায় অর্ধেক।
সরকারের পদক্ষেপে বাজারের পরিস্থিতিও খুব বেশি বদলায়নি, বরং দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের ২০ জেলায় বন্যার কারণে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ক্রমেই বাড়ছে। গরিবের মোটা চালের কেজি এখনো ৫০ টাকার কাছাকাছি। আর একটু ভালো মানের চাল চাইলে কেজিতে ৬০ টাকার বেশি দিতে হচ্ছে।
এ বছর আগাম বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৩ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমাদের ধারণা, আবার বন্যা আসতে পারে। ব্যাপক বন্যা যদি হয়, তাহলে আমাদের খাদ্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য এই সমস্যা যাতে দেখা না দেয়, ইতোমধ্যে আমরা খাদ্য বাইরে থেকে ক্রয় করে মজুদ রাখার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
"