নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে আসছে ইসি
বিএনপির সমালোচনার মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে দেড় বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আসছে কে এম নুরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৫ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পাঁচ মাসের মাথায় আজ রোববার এই নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করা হচ্ছে। ইসির এই কর্মপরিকল্পনাকে ‘অর্থহীন’ বলে প্রতিক্রিয়া এসেছে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপির কাছ থেকে। তারা নির্বাচনকালীন সরকারের ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছে। দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সে ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত কর্মপরিকল্পনা ইসি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে তা বই আকারে প্রকাশ হয়েছে। রোববার সিইসি তা উন্মোচন করবেন।’ তিনি বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক এ রোডম্যাপ ধরেই কাজ বাস্তবায়ন হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। এ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে সবার কাছে ইসির সব কাজ তুলে ধরা হবে। তাদের মতামত নিয়ে সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে।’
সবার মতামতের ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে এ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি। এ নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে জন-আকাক্সক্ষা পূরণে অন্যতম সাতটি বিষয়ে রাজনৈতিক দলসহ ছয় ধরনের অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংলাপে শেষ মুহূর্তে নারী সংগঠনের নেত্রীদের সঙ্গে বসার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৩১ জুলাই থেকে অক্টোবর নাগাদ এ সংলাপে পর্যায়ক্রমে নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, নারী সংগঠনের নেত্রী ও নির্বাচন পরিচালনা বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর ২৩ মে আগামী দেড় বছরের কাজের খসড়া সূচি ঘোষণা করেন সিইসি নুরুল হুদা।
"