প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৬ জুলাই, ২০২০

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ লাখ মানুষ

চৌদ্দ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩ লক্ষাধিক মানুষ। এর মধ্যে শুধু জামালপুরের সাত উপজেলায় ৪৯টি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৩৪৯ জন। গতকাল রোববার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।

বন্যা পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর ও ঢাকায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের পানি হ্রাস আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে গঙ্গা-পদ্মা নদীগুলোর পানি স্থিতিশীল আছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।

গতকাল রোববার সকাল ৯টার তথ্যানুযায়ী কুড়িগ্রামের ধরলায় বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। জামালপুরের বাহাদুরাবাদে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ১৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যমুনার পানি প্রবাহিত হয়। সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে একই নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ১৫টি জেলা বন্যা কবলিত। জেলাগুলো হচ্ছে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর।

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের ১১টি নদীর পানি ১৫টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দেশের উত্তর-পূর্বাংশের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পয়েন্টগুলো হচ্ছে ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্ট, ঘাগট নদীর গাইবান্ধা পয়েন্ট, ব্রহ্মপুত্র নদীর নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্ট, যমুনা নদীর ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি, কাজীপুর, সিরাজগঞ্জ পয়েন্ট, আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ী পয়েন্ট, ধলেশ্বরীর এলাসিন, পদ্মার গোয়ালন্দ, সুরমার কানাইঘাট ও সুনামগঞ্জ পয়েন্ট এবং পুরাতন সুরমার দিরাই এলাকা। বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করতে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১০১ পর্যবেক্ষণাধীন পানি স্টেশনের মধ্যে ১৭টিতে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ৬১টি স্টেশনের পানি বাড়ছে, কমছে ৩৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে একটির।

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, এখন যে পরিস্থিতি আছে তা আগামী চার থেকে পাঁচ দিন প্রায় একই রকম থাকবে। এরপর আবার বৃষ্টি শুরু হলে পানি বাড়তে পারে। এতে দেশের উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাংশের যেসব এলাকা এখন প্লাবিত, সেখানে পানির উচ্চতা বাড়বে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। তিনি আরো বলেন, তবে আগামী সপ্তাহে নতুন এলাকা আবার প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর আরিচা এবং ৪৮ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর ভাগ্যকূল পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close