নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০২ জুলাই, ২০২০

করোনায় আক্রান্ত দেড় লাখ

দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১,৮৮৮

নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) থাবায় উলট-পালট হয়ে গেছে গোটা বিশ্ব। অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের থাবায় মৃত্যু ও আক্রান্তেÍর চিত্রও উদ্বেগজনক। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। দেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। সর্বশেষ নতুন করে আরো ৪১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাস। ফলে ভাইরাসটিতে ১ হাজার ৮৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরো ৩ হাজার ৭৭৫ জন। ফলে আক্রান্ত দাঁড়াল ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৮ জনে যা দেড় লাখ ছুঁই ছুঁই।

গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস-বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি ৬৯টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তে আরো ১৬ হাজার ৮৯৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৭ হাজার ৮৭৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরো ৩ হাজার ৭৭৫ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৮ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরো ৪১ জন। এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৮৮৮ জনের। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরো ২ হাজার ৪৮৪ জন। এতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬২ হাজার ১০৮ জনে।

যারা মারা গেছেন তাদের ৩৮ জন পুরুষ, তিনজন নারী। এদের মধ্যে ত্রি?শোর্ধ্ব চারজন, চল্লি?শোর্ধ্ব পাঁচ, পঞ্চা?শোর্ধ্ব ১২, ষা?টোর্ধ্ব ১১, স?ত্তরোর্ধ্ব সাত, ৮০ বছরের বেশি বয়সি একজন এবং শতবর্ষী একজ?ন রয়েছেন। ২৩ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রামে ১৭, খুলনায় পাঁচ, বরিশালে তিন, সিলেটে দুই এবং রংপুর বিভাগে একজন মারা গেছেন।

আগরদিনের (৩০ জুন) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনা রোগীদের মধ্যে আরো ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির রেকর্ড। আর ১৮ হাজার ৪২৬টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৬৮২ জনের। সে হিসাবে আগের তুলনায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যা। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ৪ হাজার ১৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয় গত ২৯ জুন।

বুধবা?রের বুলেটিনে বলা হয়, নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।

আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৯৫৫ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ২৭ হাজার ৫৪২ জনকে। আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৫৫ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১১ হাজার ৯৯৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৫ হাজার ৫৪৭ জন।

হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৪২৯ জনকে, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২৯৫ জনকে। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ৪১৪ জন, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩ লাখ ২ হাজার ৪১৩ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৩ হাজার ৮৮২ জন।

ডা. নাসিমা বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেশবাসীর উদ্দেশে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে সব ধরনের ওষুধ বন্যাদুর্গত এলাকায় পৌঁছানো হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে মারা যাওয়া থেকে সতর্ক থাকুন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close