জিয়াউদ্দিন রাজু

  ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ছাত্রলীগকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

সমালোচনার মুখে পড়া ছাত্রলীগ নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেন এবং সংশোধনের জন্য সতর্ক করে দেন। একই সঙ্গে সংগঠনের কর্মকান্ড জোরদার করার নির্দেশ দেন। ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী সংগঠনের অভিভাবক হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোববার গণভবনে গিয়ে দেখা করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সহ-সভাপতি প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, সংগঠনের শীর্ষ দুই নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছ থেকে দিকনির্দেশনা নিয়ে এসেছেন। ?ছাত্রলীগ নেতৃত্বকে বিতর্কমূলক কাজের ব্যাপারে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করতে এবং কোনো অপশক্তির কাছে মাথানত না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো গতিশীল করার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ সূত্রগুলো বলছে, ছাত্রলীগ নিয়ে গত শনিবার তাদের সাংগঠনিক অভিভাবক শেখ হাসিনা যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তা নিয়ে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগে বিভিন্ন আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিভিন্ন কার্যক্রমে বিরক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের একটি সূত্র মনে করে, ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ এসেছে দলের ভেতর থেকেই। ছাত্রলীগ নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেই অভিযোগ আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতার। ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের বিষয় দলের কয়েকজন নেতার ব্যক্তিগত রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করেন তিনি।

তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ছাত্রলীগ বাংলাদেশের ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রলীগ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের অভিভাবক হিসেবে সংগঠনটির সব কিছু দেখভাল করছেন। সুতরাং ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে কি হবে না এসব বিষয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই দুই বছর মেয়াদি ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে বলে মনে করেন খোদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারাও।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দলের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ দুই নেতাকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সংগঠনের সাংগঠনিক অভিভাবক-আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার ঘুম থেকে দেরিতে উঠা, বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মসূচিতে দেরিতে যাওয়া ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে গাফিলতির বিষয়গুলো বৈঠকে আলোচনায় আসে বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন বলেও গণমাধ্যমে খবর আসে। যদিও এ বিষয়টি সত্য নয় বলেই মনে করেন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close