নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ মে, ২০১৯

ঈদযাত্রা

ঘোষণা না দিয়েই লঞ্চের টিকিট বিক্রি শুরু

৩ জুনের বাসের টিকিট শেষ

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘোষণা না দিয়েই গতকাল থেকে শুরু হয়েছে লঞ্চ কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম। এ নিয়ে গতকাল শনিবার লঞ্চ মালিকদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে রোববার (আজ) লঞ্চ মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সদরঘাটে ঈদ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে।

শনিবার সকালে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট দেয়া শুরু হয়ে গেছে। আমাদের (লঞ্চ মালিক) একটি মিটিং হওয়ার কথা ছিল, মিটিংটি হয়নি। কারণ সব মালিক ব্যস্ত রয়েছেন। আমরা যারা পারছি টিকিট দিচ্ছি। যে পর্যন্ত টিকিট থাকবে বিক্রিও চলবে।’

ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর কালাইয়া রুটে চলাচলকারী ‘বন্ধন-৫’ নামে একটি লঞ্চের এক কর্মী জানান, ঈদ উপলক্ষে কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি তারা শুরু করেছেন। সিঙ্গেল কেবিন এক হাজার ও ডাবল কেবিল ২ হাজার টাকা রাখা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ’র একজন কর্মকর্তা বলেন, ঈদের সময় লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়টি শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যাচ্ছে না। চাহিদা বেশি থাকায় মালিকরা ঘোষণার আগেই কেবিনের টিকিট বিক্রি করে দেন। এতে কিছু লোক টিকিট পেয়ে যান। আবার কিছু লোক ঘোষণার অপেক্ষায় থেকে শেষ মুহূর্তে কেবিনের টিকিট পান না। পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের ফিরতে ভোগান্তিতে পড়েন তারা।

তিনি আরো জানান, সদরঘাটে কাউন্টার থাকলেও সেখানে টিকিটি বিক্রিতে আগ্রহ নেই লঞ্চ মালিকদের। মূলত লঞ্চের ম্যানেজারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে অগ্রিম টিকিট কিনে নেন যাত্রীরা। কারণ যারা নদীপথে নিয়মিত চলাচল করেন তাদের লঞ্চের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে।

ঢাকা নদীবন্দরের (সদরঘাট) যুগ্ম পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) আলমগীর কবির এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব-উল ইসলামের সভাপতিত্বে লঞ্চ মালিক, পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে রোববার সদরঘাটে সভা হবে। সেখানে ঈদ ব্যবস্থাপনায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে অগ্রিম টিকিট বিক্রি তারিখও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ২০ মে থেকে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সুপারিশ করব। সভায় অনুমোদন পেলে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’

৩ জুনের বাসের টিকিট শেষ : এদিকে ঈদ উপলক্ষে দূরপাল্লার বাসের টিকিট বিক্রি গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। যা চলবে আজ রোববার পর্যন্ত। টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিনে গতকাল গাবতলী, কল্যাণপুর ও শ্যামলীর কাউন্টারগুলোতে ছিল টিকিটপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু কাক্সিক্ষত দিনের টিকিট না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে অনেককে।

শনিবার সকালে এসি বাসের টিকিট চেয়ে মিলেছে নন-এসি বাসের টিকিট। সামনের আসন চেয়ে যাত্রীরা পেয়েছেন পেছনের আসন। তারো খানিক বাদে কোনো টিকিটই পাওয়া যায়নি।

গাবতলীর বেশ কয়েকটি বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, হাতেগোনা দুই একটি ছাড়া কোনোটিতেই ঈদের অগ্রিম টিকিট নেই। কাউন্টারের কর্মীরা জানান, ৩ জুনের সব টিকিট শুক্রবার বিক্রি হয়ে গেছে। দুই একটি বাসে ৪ তারিখের টিকিট আছে। তাও প্রায় শেষের দিকে। যারা ৩ জুনের টিকেট পাচ্ছে না, তারা ৪ জুনের টিকিট নিয়ে নিচ্ছে।

দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট না পাওয়ার পেছনে পরিবহন সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। তাদের অভিযোগ, চড়া দামে বিক্রির উদ্দেশে কাউন্টার কর্মী ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের যোগসাজশে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট সিংহভাগ টিকিট নিজেদের দখলে রেখে দিয়েছে। টিকিট সংকটের পাশাপাশি বরাবরের মতো রয়েছে অতিরিক্ত দাম রাখার অভিযোগ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close