নিজস্ব প্রতিবেদক ও পঞ্চগড় প্রতিনিধি

  ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

বৃষ্টি ঝরিয়ে শীতের বিদায় ঘণ্টা

‘বসন্ত বালক মুখ ভরা হাসিটি, বাতাস বয়ে ওড়ে চুল, শীত চলে যায়, মারে তার গায় মোটা মোটা গোটা ফুল।’ শীতের বিদায়ের যে চিত্র লিখে গেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, চারপাশে তাকালেই তার মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। বিদায় নিচ্ছে শীতকাল। তবে এবার শীত সেভাবে আসেইনি।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে উষ্ণ শীতকাল গেছে এবার। এমনকি মাঘেও এবার শীত কাঁপায়নি মানুষকে। ঋতুর দ্বিতীয় মাসের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দুই-এক দিন ঠান্ডা অনুভূত হয়েছিল মাত্র। তবে সেটাও একেবারেই সাময়িক সময়ের জন্য ছিল। তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই দুপুরের রোদ ঘামাতে শুরু করে নগরবাসীকে। আর ফাগুন না আসতেই ঝরতে শুরু করেছে গাছের পাতা। বইতে শুরু করেছে বসন্তের হাওয়া। কোকিলের ‘কুহু, কুহু’ ডাকও। এর সঙ্গে ঝরেছে খানিকটা বৃষ্টিও। ঢাকায় ছিটেফোঁটা হলেও উত্তরাঞ্চলে এর মাত্রা ছিল বেশ।

গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত দেশের ২০ জেলায় বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে বৃষ্টির মাত্রা বেশি ছিল দেশের উত্তর, পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে এ সময়ে এই বৃষ্টি হয়েছে। তবে আজ থেকে বৃষ্টির মাত্রা কমে আসবে।

আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, পশ্চিমা লঘুচাপ ভারতের বিহার হয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে এসেছে। এর সঙ্গে জলীয়বাষ্পেরও কিছুটা জোগান ছিল। এ কারণে এই বৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে কিছুটা বাতাস বয়ে গেছে। এর মধ্যে দিয়ে ঋতু পরিবর্তনের একটি লক্ষণ মিলছে। তবে বৃষ্টির রেশ কমে এলে আবারও তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।

এদিকে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া মাঝারি আকারের বৃষ্টি গতকাল বিকেল পর্যন্ত ঝরেছে। টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে অনুভূত হয়েছে শীত। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে বিদ্যুতের বিভ্রাট। এ কারণে গতকাল সকালে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। শ্রেণিকক্ষগুলোতে অন্ধকার থাকায় পরীক্ষার্থীদের লিখতে অনেকটা সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close