কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯

তুমব্রু সীমান্তে পাকা স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা

বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবির কর্মকর্তারা এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন। গতকাল সোমবার কক্সবাজার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এস এম বায়েজিদ খান তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শন করেন।

তুমব্রু বাজারের কাছে নো-ম্যান্স ল্যান্ডের তুমব্রু খালের ওপর পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা নিয়ে কয়েক দিন থেকে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থাপনাটি সেতু নাকি বাঁধÑ এ নিয়ে স্থানীয়রা আছেন ধোঁয়াশার মধ্যে। এ ছাড়া আতঙ্কও দেখা দেয় নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে। এ নিয়ে মিডিয়ায় খবর ছাপা হওয়ার পর গতকাল সোমবার বিজিবির কর্মকর্তরা এলাকাটি পরিদর্শন করেন। বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এস এম বায়েজিদ খান জানান, তুমব্রু খালের ওপর মিয়ানমার কাঁটাতারের বেড়া সংস্কার করছে। খালের ওপর আগে কাঠের খুঁটি ছিল, সেটি পানিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেখানে আরসিসি পাকা পিলার দেওয়া হচ্ছে। এটি কোনো সেতু বা বাঁধ নয়।

তবে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে কেন তারা এটি নির্মাণ করছে তা জানতে চেয়ে গতকাল সোমবার মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিকে চিঠি দিয়েছে বিজিবি। এদিকে দুপুরের দিকে এ চিঠি দেওয়া হয়। তাদের কাছ থেকে চিঠির জবাব এলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বায়েজিদ খান জানান, বর্তমানে সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

তবে তুমব্রু এলাকার ইউপি সদস্য আবদুর রহিম ও বাজার এলাকার স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন থেকেই খালের পাশে তারা (বিজিপি) পাকা স্থাপনা ও পিলার তৈরি করছে। এটির কারণে বর্ষা মৌসুমে পানিতে তুমব্রু বাজার ও কোনাপাড়া তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তে বিজিবি নজরদারি বাড়িয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা। নো-ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গারা জানান, তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার আবার সেনা টহল বাড়িয়েছে।

এদিকে, গত মাস থেকে বান্দরবান সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের আরাকান ও চীন রাজ্যে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। গোলযোগের কারণে রাখাইন রাজ্যের বুথিডং, রাথিডং, মংডুসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন ও রোহিঙ্গারা আতঙ্কে নিরাপদ জায়গায় সরে যাচ্ছে। সেখানে কয়েক দিন থেকে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান চলছে। অন্যদিকে, সীমান্তে সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে বান্দরবান সীমান্তের রুমা ও থানছি এলাকায়ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী যৌথ অভিযান শুরু করেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close