ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৪ নভেম্বর, ২০১৮

সিলেটে টেস্ট ভেন্যু উদ্বোধন

সকালে স্বস্তি, বিকেলে অস্বস্তি

এই মুহূর্তে টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে দুর্বলতম দল জিম্বাবুয়ে। ঘরের মাঠে সেই দলটার বিপক্ষেই বাংলাদেশ মাঠে নামল মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ পেসার নিয়ে! স্পিনবান্ধব একাদশ সাজিয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম দিনটা রাঙাতে পারল না টাইগাররা। কাল ভালো শুরুর পরও দিন শেষে হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারেনি বাংলাদেশ।

স্বাগতিকদের ভুগিয়েছে কয়েকটা জুটি। চতুর্থ উইকেট জুটিটা দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। পিটার মুররকে নিয়ে ৭২ রানের জুটি গড়েছিলেন শন উইলিয়ামস। উপায় না দেখে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বল হাতে নিলেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য। ৮৮ রানে উইলিয়ামসকে সিøপে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে স্বস্তি এনে দিলেন দলকে। কাল প্রথম দিনে বাংলাদেশের এটাই ছিল শেষ সাফল্য। প্রথম দিনে ৯১ ওভার বল করেও জিম্বাবুয়ের পাঁচটির বেশি উইকেট ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটিং লাইনআপের অর্ধেকটা হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২৩৬। ১২২ বল খেলে মুর অপরাজিত আছেন ৩৭ রানে।

মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের ইনিংস দাঁড়িয়েছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ব্যাটে। দলের ৮৫ রানে অধিনায়কের অবদানই ছিল ৫২। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাটিং করছিলেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু বিরতির পর অধিনায়ককে দুশ্চিন্তার হাত থেকে রেহাই দিয়েছেন আবু জায়েদ। মাসাকাদজাকে তিনি এলবির ফাঁদে ফেলেন দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারেই। মাসাকাদজা ফিরেছেন ওই ৫২ রানেই।

জিম্বাবুয়ের অধিনায়ককে ফেরানোর পরেও দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণ ছিল। শন উইলিয়ামস আর সিকান্দার রাজা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এ দুইজন তুলে ফেলেছিলেন ৪৪ রান। ঠিক তখনই আঘাত হানেন অভিষিক্ত বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম। তার বলে ব্যাট আর প্যাডের ফাঁক দিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন সিকান্দার। আউট হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ১৯।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটামুটি ভালোই হয়েছিল জিম্বাবুয়ের। ওপেনিংয়ে মাসাকাদজার সঙ্গে ব্রায়ান চারি ৩৫ রান তুলে ফেলেছিলেন। কিন্তু বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে একটা বাজে শট খেলেই আউট হন চারি। এরপর তাইজুল ফেরান ব্রেন্ডন টেলরকে। নাজমুল হোসেন শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে টেলরের যে নিচু ক্যাচটি নেন, সেটি এক কথায় দুর্দান্ত।

বাংলাদেশ দলের একাদশে একমাত্র পেসার হিসেবে আছেন আবু জায়েদ। পেসারের অভাবটা সামাল দিচ্ছেন অভিষিক্ত আরিফুল হক। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি তিনি মিডিয়াম পেসটাও ভালোই পারেন। তবে তাইজুলের সাফল্যে আশাবাদী হতেই পারেন স্পিনাররা। সিলেট স্টেডিয়ামের উইকেটে যে টার্ন আছে, সেটি বোঝা যাচ্ছে স্পিনাররা বোলিংয়ে এলেই। সফল হয়েছেন তাইজুল-নাজমুল।

প্রথম সেশনে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ব্যবহার করেছে পাঁচ বোলারকে। প্রথম সেশনে একমাত্র পেসার আবু জায়েদ ছয় ওভারের পর আর ব্যবহৃত হননি। এই ছয় ওভারে অবশ্য খুব খারাপ করেননি। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই সাফল্য পেয়েছেন তিনি।

এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে দেশের অষ্টম টেস্ট ভেন্যু হিসেবে অভিষেক ঘটল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের। অভিষেক টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে টস হয়েছে বিশেষ কয়েনে। টসের সময় বিশেষ স্মারকও উপহার দেওয়া হয় দুই দলের অধিনায়ককে। সাকিব-তামিম ছাড়া গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ব্লুমফন্টেইন টেস্টেও মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ দল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close