ফাইনালের লড়াই হবে জমজমাট
এবারের আসরের শুরু থেকেই ফ্রান্সের গায়ে ফেভারিটের তকমা ছিল। রাশিয়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে তরুণ দলগুলোর একটা ফ্রান্স। সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে তারা তাদের স্বভাবজাত খেলাটাই খেলেছে। স্যামুয়েল উমতিতি একটি সুযোগ পেয়ে সেটাই কাজে লাগিয়েছেন।
গোলের পর ফ্রান্স প্রায় রক্ষণনির্ভর হয়ে পড়েছিল। তবে এমবাপ্পে-গ্রিজম্যানরা পাল্টা আক্রমণে বিপজ্জনক ছিল তারা। যদিও সেগুলো থেকে গোল আদায় করতে পারেনি। কিন্তু বেলজিয়ামের রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষকের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে ফরাসিরা। তারা বরাবরের মতো এদিন গতিশীল ফুটবল খেলেছে।
দল হিসেবে বেলজিয়াম ভালো খেলেছে। কিন্তু ফুটবল গোলের খেলা। যেটার দেখা পেয়েছে ফ্রান্স। দিন শেষে তারাই জয়ী। বেলজিয়াম আর একটু ভালো খেলতে পারতো। আসলে এভাবে হেডে গোল হলে কিছু করার থাকে না। বেলজিয়াম গোল শোধ দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
লুকাকুকে নিয়ে অনেক প্রত্যাশা ছিল বেলজিয়ানদের। তিনি এ ম্যাচেও তার সেরাটা দিতে পারেননি। এই বিশ্বকাপে নিজের পঞ্চম গোলের আশায় এদিনও তীর্থের কাক হয়ে চেয়েছিলেন অন্যদের দিকে। সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কাক্সিক্ষত ঠিকানায় বল পাঠাতে পারেননি লুকাকু। তবে আগের ম্যাচের চেয়ে এই ম্যাচে কিছুটা খারাপ খেলেছে বেলজিয়াম। স্ট্রাইকাররা ছন্দে ছিল না। তারা এলোমেলো ফুটবল খেলেছে। বেলজিয়াম সেমিফাইনালের মতো বড় ম্যাচের চাপ হয়তো নিতে পারেনি। ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস দুর্দান্ত খেলেছেন। তাকে কৃতিত্ব দিতে হবে।
ইংল্যান্ডকে পেলে ফাইনালে ফ্রান্সের জিততে অনেক লড়াই করতে হবে। ক্রোয়েশিয়া উঠলেও লড়াই হবে। ফাইনালে যে দলই ওঠে না কেন, তারা ভালো খেলা ও শিরোপা জয়ের জন্যই মাঠে নামে। ক্রোয়েশিয়া কিংবা ইংল্যান্ড যেই আসুক লড়াই হবে। তবে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স এলে লড়াইটা জমজমাট হবে। ইংল্যান্ড একবার শিরোপা জিতেছে। ইংল্যান্ডও একবার। উভয় দলের সামনেই তখন দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের হাতছানি থাকবে। উভয় দলেই তারকা খেলোয়াড়ের ছড়াছড়ি। তাদের বেঞ্চও শক্তিশালী। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনাল হবে। ফ্রান্সের গতিময় ফুটবল তাদের জন্য ইতিবাচক দিক। ইংল্যান্ডও গতিময় ফুটবল খেলে। লড়াই হবে সমানে সমান।
"