আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৩ মে, ২০১৮

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ : নিহত ১৯

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৯ জন মারা গেছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ২৪ জন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। গতকাল শনিবার সকালে শান রাজ্যের দুইটি সামরিক ঘাঁটিতে এবং লাশিও শহরের একটি ব্রিজের কাছে তিন স্থানে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নিহত ১৯ জনের মধ্যে চারজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। এছাড়া আহত ২০ জনকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান দেশটির সরকারি মুখপাত্র।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এ সংঘর্ষ হয়েছে সেনাবাহিনী ও তা’য়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মধ্যে। মিয়ানমারে যে কয়টি সশস্ত্র গোষ্ঠী জাতিগত স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়ছে তার মধ্যে টিএনএলএ একটি। চীন সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংঘর্ষ বেড়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ উত্তরাঞ্চলের কাচিন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়তে থাকে। সাম্প্রতিক মিয়ানমার নেত্রী অং সান সুচিকে নিয়ে বিভিন্ন সহিষ্ণুতা থেকে জাতিগত অধিকার আদায়ে বিদ্রোহীরা এ হামলা চালায়। পরে তাদের প্রতিরোধে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর উত্তরের কয়েকটি দল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

মিয়ানমারের সরকারি মুখপাত্র জাও থে বলেন, শনিবার ভোর ৫টায় ছোট-বড় অস্ত্র নিয়ে সরকার সমর্থিত ও সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করেন প্রায় ১০০ বিদ্রোহী। এ সময় তাদের প্রতিরোধে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এগিয়ে এলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

মিয়ানমার পুলিশের বরাত দিয়ে জাও থে আরো বলেন, সংঘর্ষে দুই নারীসহ ১৫ জন বিদ্রোহী নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং তিনজন সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। এ হামলা মিয়ানমারের সামরিকদের উদ্দেশ্য করে করা হয়েছে। যা জাতিগত অধিকার আদায়ের আন্দোলন নয়। এটি সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেন দেশটির এই মুখপাত্র।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, মিয়ানমারের পশ্চিমের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা নির্যাতনের মধ্যেই উত্তরের শান প্রদেশের উত্তেজনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি কাড়ে।

গত বছরের জুলাই থেকে সেনাবাহিনীর অত্যাচারের মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে অন্তত সাড়ে ৬ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এরপর সরকারি বাহিনী ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার মুখে উত্তরের কাচিন রাজ্য থেকেও হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

টিএনএলএ’র মুখপাত্র মেজর মাই আইক কিয়া বলেন, আজ ভোর ৫টায় তিনটি স্থানে লড়াই হয়েছে। মুসেতে সেনাবাহিনীর দুইটি বেইজের কাছে এবং আরেকটি লাশিও শহরে যাওয়ার পথে একটি সেতুর কাছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist