জুবায়ের চৌধুরী

  ২৪ মার্চ, ২০১৮

জঙ্গি সাগর-নিলয়ের তথ্য

মন্ত্রী-এমপি খুনের পরিকল্পনা ছিল!

নব্য জেএমবির দুই শীর্ষ নেতা হাসিদুর রহমান সাগর ও আকরাম হোসেন নিলয়কে গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ ও পান্থপথ হামলার পরিকল্পনার কথা সাগর ও নিলয় বলে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, গত বছর ১৫ আগস্টের শোক দিবসে মন্ত্রী-এমপিসহ শতাধিক মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তবে সেই পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার মহিবুল ইসলাম খান জানান, সাগর নব্য জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ এবং সিনিয়র নেতা ছিল। গুলশান হামলায় গ্রেফতার হওয়া বিভিন্নজনের স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে সাগর অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহ করেছিল। আর তামিম চৌধুরী এবং মুসা মারা যাওয়ার পর নিলয় আমির হিসেবে নব্য জেএমবিকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছিল। সে সংগঠনের জন্য অর্থের জোগানদাতা হিসেবেও কাজ করেছে। রিমান্ডে সাগর ও নিলয় গুলশান হামলা ও পান্থপথ হামলার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের আর কোন কোন ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে এবং তাদের কী পরিকল্পনা ছিল বা তাদের সহযোগীদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ বলেছে, সাগর নব্য জেএমবির বোমা তৈরির কারিগর। আর আকরাম হোসেন নিলয় নব্য জেএমবির সর্বশেষ আমির। নব্য জেএমবির অর্থের জোগানদাতা হিসেবেও কাজ করত নিলয়। গুলশান হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে শীর্ষ নেতাদের মৃত্যু হলে নিলয়কে নব্য জেএমবির আমিরের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

গত বুধবার রাতে নব্য জেএমবির এই দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করে বগুড়া জেলা পুলিশ। এরপর গত বৃহস্পতিবার সাগরকে গুলশান হামলা মামলায় এবং নিলয়কে পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। আদালত সাগরকে সাত দিন এবং নিলয়কে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পান্থপথ বিস্ফোরণে মন্ত্রী-এমপিসহ শতাধিক মানুষ হত্যার পরিকল্পনা ছিল : গত বছর ১৫ আগস্ট সকালে হামলার আগেই কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অভিযানে পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালের একটি কক্ষে নিজেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হয় জঙ্গি সাইফুল। সই সময় মন্ত্রী-এমপিসহ শতাধিক মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সাইফুলের পরিকল্পনা ছিলÑযেকোনো উপায়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কাছাকাছি গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো। এ জন্য বেশ বড় আকারের একটি বোমা তৈরি করে সাইফুলের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জঙ্গিদের সেই পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন আগস্ট বাইট’। ওই ঘটনায় বোমা তৈরির কারিগর এবং অর্থ সরবরাহকারীসহ ১০ জন গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

২০১৬ সালে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রম জোরদার হয়। ধারাবাহিক অভিযানে কোণঠাসা হয়ে পড়া জঙ্গিরা ঘুরে দাঁড়াতে বড় হামলার প্রস্তুতি নেয়। এ জন্য তারা ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসকে বেছে নিয়েছিল। যাতে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রী-এমপিসহ শতাধিক মানুষকে একসঙ্গে হত্যা করা যায়। তাদের টার্গেট ছিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর।

গ্রেফতার জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ, আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তি এবং গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, আত্মঘাতী জঙ্গি সাইফুল হামলা চালিয়ে শহীদ হওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়েছিল। পরিকল্পনা মতো তিন দিন আগে খুলনা থেকে ঢাকায় আসে সাইফুল। মিরপুরে এক বন্ধুর মেসে এক রাত থাকে সে। পরদিন বোমাসহ হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালের তিন তলার একটি কক্ষে ওঠে। সেখান থেকে ১৫ আগস্ট সকালে বোমার ব্যাগ নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়ার কথা ছিল তার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাবেন, সে সময় গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটনোর জন্য সাইফুলকে বলা হয়েছিল। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই নেতাকর্মী ও নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের কাছাকাছি গিয়ে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কাউন্টার টেররিজম সূত্র জানায়, ১৫ আগস্ট শোক দিবসে ভয়াবহ এই হামলার পরিকল্পনাটা ছিল শীর্ষ জঙ্গি আকরাম হোসেন নিলয়ের। হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর বিভিন্ন অভিযানে শীর্ষ জঙ্গি নেতারা নিহত হলে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া নিলয় নব্য জেএমবির হাল ধরে। মূলত সে-ই আবারও নতুন করে নব্য জেএমবি সংগঠিত করার চেষ্টা করছিল।

ভয়ংকর ও দুর্ধর্ষ জঙ্গি সাগর : কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সূত্র জানায়, হাদিসুর রহমান সাগর পুরনো জেএমবির সদস্য। ২০০১ সালে জয়পুরহাট সদরের বানিয়াপাড়া আলিয়া কামিল মাদরাসা থেকে আলিম পাস করে সাগর। জঙ্গিবাদে জড়িয়ে লেখাপড়া করেনি সাগর। পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা ডা. নজরুলের সঙ্গে তার বেশ সখ্য ছিল। নজরুলই তাকে নব্য জেএমবির আরেক শীর্ষ নেতা মারজানের বোনের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেয়। মারজানের খালু সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতটাকা মাহফুজও ছিল পুরনো জেএমবির শীর্ষ নেতা। কয়েক বছর আগে নিজের দলের সদস্যদের হাতে ডা. নজরুল মারা যায়।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, নব্য জেএমবির সাত শূরা সদস্যের একজন সাগর। প্রথমদিকে সামরিক কমান্ডার হিসেবে কাজ করেছে। বোমা তৈরিতেও দক্ষ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অস্ত্র-বিস্ফোরক আনার রুটগুলো সে-ই দেখত। এ কারণে সাগরকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশান হামলার ঘটনায় গ্রেফতার একাধিক জঙ্গি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছে, গুলশান হামলায় অস্ত্র ও বোমা সরবরাহের দায়িত্ব ছিল সাগরের ওপর। এই সাগরই ছোট মিজানকে সঙ্গে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অস্ত্র ও বোমা নিয়ে ঢাকার শেওড়াপাড়ায় নিয়ে আসে। পরে সেই অস্ত্র-বোমা নিয়ে যাওয়া হয় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসায়। সেসব অস্ত্র ও বোমা নিয়েই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় পাঁচ জঙ্গি। এরপর থেকে সাগরকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

নব্য জেএমবির সর্বশেষ আমির নিলয় : নব্য জেএমবির সর্বশেষ আমির আকরাম হোসেন নিলয় ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া করা ছাত্র। স্কলাস্টিকা এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল শেষ করেছে নিলয়। এরপর মালয়েশিয়ার লিংকন ইউনিভার্সিটিতেও পড়তে গিয়েছিল। ২০১২-১৩ সালে গুলশানের আজাদ মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে প্রথমে সালাফি মতবাদে উদ্বুদ্ধ হয় নিলয়। পরে নব্য জেএমবির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নিলয়ের সঙ্গে নব্য জেএমবির অন্যতম প্রধান মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম চৌধুরীর যোগাযোগ হয়। একপর্যায়ে তামিমের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে নিলয়। গুলশান হামলার ঘটনায় নিবরাস ইসলামসহ রোহান ইমতিয়াজ ও মীর সামিহ মোবাশ্বেরের সঙ্গেও তার পরিচয় ছিল। হামলার দুই মাসের মাথায় তামিম চৌধুরী মারা গেলে মাইনুদ্দিন মুসা নব্য জেএমবির সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক অভিযানে মুসা নিহত হলে মূল সমন্বয়কের দায়িত্ব নেয় নিলয়। সংগঠনের সবাই তাকে আবু আব্দুল্লাহ হিসেবে চিনত। এছাড়া ‘সেøড উইলসন’ ও ‘জ্যাক স্প্যারো’ নামে আরো দুটি সাংগঠনিক নামও ছিল নিলয়ের।

নিলয় খুবই দুর্ধর্ষ প্রকৃতির। দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৫ আগস্টে বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থের জোগানদাতা ছিল নিলয়। বড় একটি হামলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্য কোন কোন ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত, তা জানারও চেষ্টা চলছে।

গুলশান হামলার অনেক আগে বাড়ি ছাড়েন সাগর : জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার অনেক আগেই হাদিসুর রহমান সাগর বাড়ি ছেড়েছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক থেকে সাগর ও নিলয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে তাদের ঢাকায় এনে গত বৃহস্পতিবার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দুই বছর আগে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন নিহত হয়েছিলেন। নজিরবিহীন ওই জঙ্গি হামলায় সাগরকে অস্ত্র জোগানদাতা হিসেবে চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারের আগে তারা অন্য কোথাও যাওয়ার উদ্দেশ্যে কিচক বাজারে অবস্থান করছিল বলে পুলিশের ভাষ্য। এদিকে, সাগর গ্রেফতার হওয়ার পর এই ইউনিটের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রস্তুতি মোটামুটি সারা হয়েছিল। এখন সাগর গ্রেফতার হওয়ায় তা একটু পিছিয়ে যেতে পারে।

সাগরকে নিয়ে এই মামলায় এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হলি আর্টিজান বেকারিতে সশস্ত্র হামলাকারী পাঁচজনই কমান্ডো অভিযানে নিহত হয়েছিলেন। হামলায় জড়িত যাদের বিভিন্ন অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে ‘রাজীব গান্ধী’, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ ওরফে র‌্যাশ, রাকিবুল হাসান রিগান, সোহেল মাহফুজ। সন্দেহভাজন আসামিদের মধ্যে তামিম চৌধুরী, বাশারুজ্জামান চকলেট, ছোট মিজানসহ কয়েকজন মারা গেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে। নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকেও এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন। তবে তার সম্পৃক্ততার বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু বলেনি পুলিশ।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার পলিকাদোয়া কয়রাপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী পল্লী চিকিৎসক হারুনুর রশিদ ও মা আছিয়া খাতুনের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সাগর দ্বিতীয়। গ্রামের মাদ্রাসায় দাখিল পাস করেন তিনি। সাগরের মা গ্রামে একটা ছোট মুদির দোকান চালান; আর বাবা উপজেলার কাদোয় মোড়ে একটা ওষুধের দোকান করেন।

মা আছিয়া খাতুন বলেন, আলিম ফেল করার পর সাগর বাড়িতে থাকতেন। অভাবের সংসারে টানাপড়েন লেগে থাকত। একসময় রাগ করে বাড়ি ছাড়েন। এরপর তাকে অনেক খুঁজেছেন তারা। বাড়ি ছাড়ার পর ২০১৪ সালে স্ত্রীকে নিয়ে একবার বাড়ি এসেছিলেন বলে তার মা জানিয়ছেন।

তিনি জানান, ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি থানায় জিডি করেছিলেন; কিন্তু পুলিশ কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। ২০১৬ সালে পুলিশ সাগরের বাবাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে মাঝে মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ তাদের বাড়ি আসত এবং বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলত। কেউ কেউ টাকা-পয়সাও দাবি করত।

আছিয়া বলেন, বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর ঢাকায় একটা কোম্পানিতে চাকরি করে বলে পরিবারকে জানিয়েছিল সে। মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসত; কিন্তু বাবা-মাকে টাকা-পয়সা দিত না। এক পর্যায়ে যোগাযোগও বন্ধ করে দেয়। ২০১৪ সালের দিকে একবার বউকে নিয়ে সাগর বাড়ি এসেছিল সাগর। তারপর কোথায় থাকত, কী করত কিছুই জানা ছিল না। সাগরের চাচি কবিতা খাতুন জানান, সাগর জেএমবি হতে পারেন তা তারা ভাবতেও পারেননি।

প্রতিবেশী ইসতামুল, আবদুস সবুরসহ কয়েকজন জানান, হাদিসুর শান্ত স্বভাবের এবং নিয়মিত নামাজ পড়তেন। তিনি জেএমবি, এটা তাদের জানা ছিল না। সংবাদমাধ্যমে তার জেএমবি হওয়া এবং পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার কথা জানতে পারেন তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist