নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৩ জানুয়ারি, ২০১৮

দেশ মধ্যম আয়ের হলে বিনিয়োগ বাড়বে : প্রধানমন্ত্রী

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার বেড়েছে

বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলে বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন এবং তাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে বলে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়াটা হবে সরকারের অনেক বড় অর্জন। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে এ বৈঠক হয়। এদিকে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার আগের তুলনায় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) এন এম জিয়াউল আলম। তিনি জানান, ২০১৭ সালের চতুর্র্থ ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৭৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এর আগের বছর একই সময়ে এ হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায় বলছে, আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। চলতি বছরের মার্চে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এজন্য তিনটি সূচকই এরই মধ্যে অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাকালে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল ১৮ হাজার কোটি টাকা রফতানি কমে যাওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়াটা আমাদের সরকারের জন্য অনেক বড় অর্জন হবে। যারা এখন এটা নিয়ে সমালোচনা করছেন, আমরা এ জায়গায় পৌঁছাতে না পারলে, তারাই আবার সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠতেন। তারা বলতেন, সরকার পারল না, সরকার ব্যর্থ। আমরা মধ্যম আয়ের দেশের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে না পারলে তখন বলা হতো, সরকারের অক্ষমতার কারণে হয়নি। এই অর্জন আমাদের জন্য একটা বড় গর্বের বিষয়, এটা একটা বিরাট সফলতা। এটা সমালোচকরা দেখবেন না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ হলে অনেক রাষ্ট্রই বিনিয়োগ করতে আসবে। বিনিয়োগে তারা আগ্রহী হবে। আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করছি, আমাদের সক্ষমতার কারণে এখন বিশ্বব্যাংক ও এডিবি আরো বেশি ঋণ দিতে চায়। ১৮ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসতে পারে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল, এটা মনে করে অনেকেই বিনিয়োগ করতে আসবে। বিনিয়োগ বাড়বে সঙ্গে সঙ্গে রফতানিও বাড়বে।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) এন এম জিয়াউল আলম জানান, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আটটি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৬৮টি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে ৫৩টি। ১৫টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৭৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৬ সালের একই সময়ে ১০টি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়েছে জানিয়ে সংস্কার ও সমন্বয় সচিব বলেন, ‘ওই সময়ে সিদ্ধান্ত হয় ১১৬টি। এর মধ্যে ৮০টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন ছিল ৩৬টি। বাস্তবায়নের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ।’

জিয়াউল আলম জানান, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে একটি নীতি বা কর্মকৌশল এবং ৮টি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদিত হয়েছে। এ সময়ে সংসদে আইন পাস হয়েছে ৩টি। ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ৫টি নীতি বা কর্মকৌশল এবং ৫টি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদিত হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist