প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২১ অক্টোবর, ২০১৯

একাকিত্বের রাজধানী বার্লিন!

জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বসবাসকারী অনেক মানুষই এখন নিঃসঙ্গতায় ভুগছেন। একাকী সময় কাটানোয় তাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছাড়াও এটি সমাজে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এমতাবস্থায় খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটরা একাকিত্ব মোকাবিলায় বার্লিনে বিশেষ কমিশনার নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। বার্লিনের প্রতি দুটির মধ্যে একটি পরিবার একজনের। এখানে বয়স্কদের জন্য রয়েছে খোশগল্প করার হটলাইন। পেশাগতদের সময় কাটানোর আলাদা গ্রুপ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফেসবুক গ্রুপ।

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের দলের (সিডিইউ) বার্লিন শাখা নিঃসঙ্গতার জন্য একজন অফিশিয়াল কমিশনার নিয়োগের দাবি জানিয়েছে। সিডিইউর মুখপাত্র মাইক পেন স্থানীয় পাবলিক ব্রডকাস্টার আরবিবিকে বলেন, ‘শহরের একাকিত্ব সমস্যা মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবীর কাজগুলো যথেষ্ট নয়। সবকিছু সমন্বয় করতে পুরো সময়ের জন্য একজনকে দরকার। লাখ লাখ মানুষের মহানগর হিসেবে বার্লিনে এই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’

পেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, দলীয় রাজনীতির বাইরে গিয়ে বার্লিন শহরের একাকিত্ব মোকাবিলা করা প্রয়োজন। আমি আশা করি আমরা এখানে সব পক্ষের একাকী লোকদের জন্য কিছু করতে পারব, কারণ এটি তরুণ, বৃদ্ধ, ধনী, গরিব সবারই সমস্যা।

বার্লিনের দৈনিক টাগেসস্পিগেলের ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাকিত্বের কারণে গত বছর বার্লিনের ১ হাজার ৩০০ মানুষ স্বেচ্ছাসেবীর কাজে যোগ দেন। এই শহরে ৩৬ লাখ মানুষ বাস করে এবং প্রতি বছর এই সংখ্যা বাড়ছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বার্লিনের কমপক্ষে ৩০০ মানুষ প্রতি বছর তাদের অ্যাপার্টমেন্টে মৃত্যুবরণ করেন। সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্লিনকে একাকীত্বের রাজধানী নামে অভিহিত করা হচ্ছে।

গত মে মাসে ফেডেরাল সরকার পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪৫ থেকে ৮৪ বছর বয়সের জার্মানরা নিঃসঙ্গতা বোধ করেন এবং এই সংখ্যা এখন ১৫ শতাংশে ঠেকেছে। কোনো কোনো বয়সের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি ৫৯ শতাংশে ঠেকেছ এবং প্রতি চারজনের মধ্যে একজন কিশোর মাঝে মাঝে একাকীত্ব বোধ করেন বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close