নিজস্ব প্রতিবেদক
নেপালে বিমান দুর্ঘটনা
চার মাসেও ক্ষতিপূরণ পায়নি নিহতদের পরিবার
নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের চার মাস পরও নিহতদের পরিবার ইনস্যুরেন্সের (ক্ষতিপূরণের) টাকা পাননি। এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বলছে, ইতোমধ্যে নিহতদের অধিকাংশেরই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের নাগরিক থাকায় যাচাই-বাছাইয়ে সময় লাগছে।
ইউএস-বাংলায় চেপে নেপালে ঘুরতে যাওয়ার মাত্র ৯ দিন আগেই বিয়ে হয়েছিল জান্নাতুল ফেরদৌস আঁখি মনির। আঁখি মনির বিয়ের ডালা এখনো যতœ করে রেখেছেন তার মা। প্রায়ই তার সময় কাটে প্রিয় সন্তানের বিয়ের ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে। দুর্ঘটনার চার মাস পার হলেও এখনো ক্ষতিপূরণ পাননি ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহতদের স্বজনরা। ক্ষতিপূরণের টাকার অঙ্ক নিয়েও অন্ধকারে আছেন তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ নিরূপণ করতে ওয়ারসো ও মন্ট্রিল দু ধরনের কনভেনশন চালু রয়েছে। বেশির ভাগ রাষ্ট্রই বর্তমানে অনুসরণ করে ১৯৯৯ সালের মন্ট্রিল কনভেনশন। তবে বাংলাদেশ অনুসরণ করে ১৯২৯ সালের ওয়ারসো কনভেনশন। বাংলাদেশ ২০০৩ সালে মন্ট্রিল কনভেনশনে সই করলেও এখন পর্যন্ত তা রেটিফাই করেনি।
এদিকে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ বলছে, ওয়ারসো কনভেনসন অনুসারে দুর্ঘটনায় নিহতরা ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন। আহতদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে। প্রক্রিয়া শেষ করতে আরো দুই-তিন মাস সময় লাগতে পারে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত হন ৫০ জন। এর মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি এবং একজন চীনা নাগরিক। আহত হন ১০ বাংলাদেশি, নয় নেপালি এবং এক মালদ্বীপের নাগরিক।
"