মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
দুই গ্রুপে সংঘর্ষের জের
গ্রেফতার এড়াতে পুরুষশূন্য গ্রাম
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের উত্তাপ এখনো থামেনি। গত ৩ জানুয়ারি মোল্লাকান্দি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রিপন পাটওয়ারী ও বর্তমান চেয়ারম্যান কল্পনা বেগমের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাতজন আহত ও একজন নিহত হয়। এর মধ্যে গত ৪ জানুয়ারি পুলিশ বিস্ফোরক আইনে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করে। গত ৬ জানুয়ারি সংঘর্ষে নিখোঁজ একজনের লাশ উদ্ধারের পর উত্তাপ আরো ছড়িয়ে পড়ে। অপরদিকে, নিখোঁজ লাশ উদ্ধারের পর আরেকটি হত্যা
মামলা দায়ের হয়। এরপর থেকেই গ্রেফতার আতঙ্কে ও সংঘাত এড়াতে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের চরডুমুরিয়া, কংশপুরা, চৈতারচর, আমঘাটাসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। উত্তাপ ছড়ানো ও নতুন করে সংঘর্ষের কথা অস্বীকার করেছে দুপক্ষই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের ঘটনায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। লুটপাটের আশঙ্কা করছে গ্রামবাসী। পুলিশি অভিযান চলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে। চরডুমুরিয়া ও কংশপুরায় সংঘর্ষের চেষ্টা চলে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুরুষশূন্য গ্রামগুলোতে লুটপাট ও সংঘাতের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মহিলারা।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসাইন জানান, মোল্লাকান্দির সংঘর্ষের ঘটনায় একটি বিস্ফোরক আইনে মামলা ও একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নতুন করে কোনো সংঘর্ষের আশঙ্কা আমরা দেখছি না। তারপরও সেখানে পুলিশ আছে এবং অভিযান চালাচ্ছে। সদর থানার ওসি বলেন, নতুন করে কোনো সংঘাত যাতে না ঘটে সেজন্য আমরা তৎপর আছি। এ পর্যন্ত চারজনকে আটক করে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে ।
"