মাজহারুল ইসলাম মিশু, হালুয়াঘাট
সন্তানের সামনে মাকে গণধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টা
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পূর্ব গোপিনগর গ্রামে ৪ সন্তানের জননী ফাতেমা খাতুন (২৮) নামে এক গৃহবধূকে গণধর্ষনের পর হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে আসামিদের শাস্তির দাবিতে বুধবার দুপুরে গোপীনগর গ্রামে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একটি নির্জন দ্বীপের মতো স্থানে ভাঙ্গা ছনের ঘরে থাকেন ফাতেমার পরিবার। প্রতিদিনের মতো দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। স্বামী বাবুল মিয়া রাতে মাছ ধরার কাজে বাহিরে থাকায় সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র জামাল হোসেন (৩০), মোঃ ইদ্রিস আলির পুত্র খাইরুল ইসলাম (২৮), মোঃ এমদাদুল হক ও মোঃ ফরহাদ সহ মোট চারজন মিলে গৃহবধুকে মুখ বেঁধে সন্তানের সামনেই পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে সাংবাদিকদের কাছে ধর্ষিতা অভিযোগ করেন।
ঘটনার এক পর্যায়ে ধর্ষিতাকে মেরে ফেলার জন্যে গলা চেপে ধরে ধর্ষকরা। এ সময় পাশের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতরত এক পথচারির টর্চ লাইটের আলো দেখে ধর্ষণকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ফাতেমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর ধর্ষণের পর থেকেই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যে স্থানীয় মাতব্বরেরা উঠে পড়ে লেগেছেন। ধর্ষিতার ৪ বৎসরের শিশু প্রত্যক্ষদর্শী মোবাইদ বলেন-আমার আম্মুকে ঐ দিন রাতে ৪ জন লোক এসে অনেক নির্যাতন করেছে। আমার আম্মু ও আমি চিৎকার করেছি।
ধর্ষিতার স্বামী বাবুল মিয়া বলেন, আমি মাছ মারার জন্যে বাহিরে ছিলাম। ঘটনার পর ফোন পেয়ে আমি বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে লাঞ্চিত হয়ে অচেতন অবস্থায় দেখতে পাই। পরে তাকে হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
এ বিষয়ে বুধবার রাতে হালুয়াঘাট থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
পিডিএসও/রিহাব