reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ভুয়া কাবিনে ৩ বছর সংসার

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া বিয়ে রেজিস্ট্রি করে এক নারীর সঙ্গে তিন বছর ধরে সংসার করার অভিযোগ উঠেছে জামিরুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী নারী গত শনিবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ওই নারীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে মোছা. সাদা রানী (৪০) নামে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মারা যান। এরপর থেকে তিনি উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের হরিনাবাড়ী গ্রামে তার বাবার বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু সেখানে তার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকার জের ধরে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের খামার বালুয়া গ্রামের জামিরুল ইসলাম ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন। এতে তার সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে জামিরুলের। পরবর্তীতে এলাকার লোকজনের সমালোচনা ও কানাঘুষা ঠেকাতে জামিরুল তার সহযোগী মনোয়ারুল ইসলামের যোগসাজশে এক ভুয়া কাজীর মাধ্যমে ২০ হাজার টাকার দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের কাবিননামা রেজিস্ট্রির চেষ্টা করেন। কিন্তু বিষয়টিতে সাদা রানীর আপত্তি থাকায় ভেস্তে যায়।

কয়েকদিন পরে আবার জামিরুল ও মনোয়ারুল অপরিচিত তিনজন লোককে ওই নারীর বাড়িতে আনেন। অপরিচিতদের একজনকে কাজী পরিচয়ে দেড় লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়। তবে জামিরুলের প্রথম স্ত্রী থাকায় দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখা হয়।

অভিযোগে ওই নারী উল্লেখ করেন, গত আগস্ট মাসের শেষ দিকে সাদা রানী জামিরুলের কাছে বিয়ে রেজিস্ট্রির কাগজ চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করে জানান, সরকারিভাবে কাবিননামা হয়নি। যা নিয়ে গ্রামে একাধিক সালিস বৈঠকের একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার জামিরুল স্বীকার করেন কাবিননামার কপিটি কাজী মৃত জয়নালের বাড়িতে আছে এবং সেটি ভুয়া বলেও জানান তিনি।

ঢাকায় পোশাক শিল্প কারখানায় চাকরিরত থাকাকালীন নানা কৌশলে জামিরুল তার জমানো প্রায় দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলেও লিখিত অভিযোগে সাদা রানী উল্লেখ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ভুয়া কাবিন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close