বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী
সড়কে নেই পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে সড়কে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীসহ যানবাহনের চালকেরা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কালুরঘাট ভাণ্ডালজুরী সড়কের টোল অফিসের সামনে থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কালুরঘাট টোল অফিসের সামনে থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কে কাদাযুক্ত বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। সড়কের দুই পাশে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। কাদাযুক্ত বৃষ্টির পানি মাড়িয়ে লোকজন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে চলাচল করছেন। পানির মধ্য দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় পানি ছিটে লোকজনের শরীরে যাচ্ছে। সড়কের দুই পাশে স্থাপনা থাকায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে বৃষ্টি হলেই ফেরিঘাট পর্যন্ত বেশির ভাগ সড়কে পানি জমে থাকে। এ পানি শুকাতে কয়েক দিন সময় লাগে। বৃহস্পতিবার সকালের অল্প বৃষ্টির পানি সড়কে জমে ছিল এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত। তবে স্থানীয়রা অস্থায়ীভাবে সড়কের পাশে মাটি খুড়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য চেষ্টা করছে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে কাদাযুক্ত হয়ে যায়। সেই পানি দু-এক দিনের মধ্যে নামে না। বর্ষা মৌসুম এলেই এ দুর্ভোগে পড়েন ওই সড়কে চলাচলকারী লোকজন ও যানবাহনের চালকেরা। বর্তমানে বোয়ালখালী থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে যাওয়ার জন্য ফেরিতে উঠার একমাত্র সড়ক এটি। প্রতিদিন এ সড়কে শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। পানি জমে থাকায় যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি হচ্ছে। এছাড়া এই সড়কটি পর্যটন কেন্দ্র মুক্তিযোদ্ধা রিভার ভিউ, কধুরখীল, চরণদ্বীপ, জৈষ্ঠ্যপুরাতে চলাচলের অন্যতম সড়ক এটি।
অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, হাজরাবাড়ী বাজার থেকে মেলান্দহ যাওয়ার সড়কে শুধু এ জায়গায় সমস্যা। এ জায়গার পানি নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেই আর পানি জমত না।
ব্যবসায়ী মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আরকান সড়ক থেকে এ সড়কটি নিচু হওয়ায় পানি এসে এ জায়গায় জমা হয়। পানি বের হওয়ার কোনো পথ নেই। পানি জমে থাকায় ক্রেতাও আসতে চান না। এ জায়গায় যদি পানি জমে না থাকত, তাহলে আমাদের ব্যবসাও ভালো হতো।’
বোয়ালখালী পৌরসভা মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, ‘খবর পেয়ে লোক পাঠিয়েছি পানি নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি। ওই সড়ক থেকে দ্রুত পানি নেমে যাওয়ার স্থায়ীভাবে ড্রেনের ব্যবস্থা করা হবে।’
পিডিএস/আরডি