নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

  ০১ এপ্রিল, ২০২৪

মুরাদনগরের নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়ন

ইউপি সদস্যের কাছে চাঁদা দাবি, সেই এসআই বরখাস্ত

বরখাস্ত হওয়া এসআই হারুনুর রশিদ। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে মোবাইল ফোনে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের কাছে চাঁদা দাবি ভিডিও রেকর্ড প্রকাশ হওয়ার পর থানার এক উপপরিদর্শককে (এসআই) সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউপির সদস্য আশ্রাফুল ইসলামের কাছে হোয়াটসআ্যাপ কলের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এসআই হারুনুর রশিদ।

পুলিশের চাঁদা দাবির অডিও ফাঁস হওয়ার পর এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে চঞ্চল্য তৈরি হয়। এ ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া এসআই হারুনুর রশিদ মুরাদনগর থানায় কর্মরত ছিলেন। গত ৩০ মার্চ কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান তাকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্তের আদেশ দেন।

জানা গেছে, মুরাদনগর থানায় কর্মরত এসআই হারুনুর রশিদ ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে নবীপুর পশ্চিম ইউপির সদস্য আশ্রাফুল ইসলামের কাছে হোয়াটসআ্যাপ কলের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

ইউপি সদস্য আশ্রাফুল দুই লাখ টাকা হাতে নেই জানিয়ে কারণ জানতে চাইলে এসআই হারুন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না, সব স্যারে জানেন।’ পরে ইউপি সদস্য কয়েকদিনের সময় চাইলে এসআই ‘সরি’ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ ঘটনার রাতেই ইউপি সদস্য আশ্রাফুলকে শ্বশুর বাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে ইউপি সদস্যের কাছে চাঁদাদাবির বিষয়টি জানাজানি হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করেন। এতে এসআই হরুনুর রশিদের চাঁদা দাবীর বিষয়টি সত্যতা পেয়ে জেলার পুলিশ সুপারকে প্রতিবেদন দেন। এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান অভিযুক্ত এসআই হারুনকে বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেন।

জানতে চাইলে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, ‘এসআই হারুনুর রশিদের চাঁদা দাবির বিষয়ে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সে আমার নাম ব্যবহার করে এমনটা করেছে।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুমিল্লা,মুরাদনগর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close