বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

  ০১ এপ্রিল, ২০২৪

শার্শায় অভিযোগ

নলকূপ খননে গোবরের ব্যবহার, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

শার্শায় আর্সেনিকমুক্ত নলকূপ খননের সময় বোরিং ফ্লুইড হিসেবে দেওয়া হচ্ছে গরুর গোবর। ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

যশোরের শার্শা উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কর্মকর্তার নির্দেশ উপেক্ষা করে আর্সেনিকমুক্ত নলকূপ খননের সময় বোরিং ফ্লুইড হিসেবে গরুর গোবর মিশ্রিত পানির ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। মোটা অংকের কমিশন পাওয়ার আশায় জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তারা সরকারি নির্দেশ পালন না করে ঠিকাদারের কাজে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

বিভিন্ন সমীক্ষা ও গবেষণার বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নলকূপ খননের সময় গোবর পানি ব্যবহারের কারণে ভূগর্ভের পানির স্তর দূষণের সম্ভাব্য দীর্ঘ স্থায়ী উৎস হতে পারে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আসের্নিকমুক্ত নলকূপ খননের সময় বোরিং ফ্লুইড হিসেবে গরুর গোবর মিশ্রিত পানি ব্যবহার করা হচ্ছে এমন খবরের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রধান প্রকৌশলী জনাব সরোয়ার হোসেন এক অফিস আদেশে নলকূপ খননে গরুর গোবর মিশ্রিত পানি ব্যবহার সম্পূর্ণ রুপে পরিহার করার নির্দেশ দেন। তিনি প্রতিটি জেলা উপজেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের একই আদেশ প্রদান করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ জারি করেন। অথচ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ম্যাকানিকরা নলকূপ খননের সময় প্রতিটি নলকূপে বেন্টোনাইট-ক্লে মিশ্রিত পানির ব্যবহার না করে গোবর মিশ্রিত পানি ব্যবহার করছেন বলে জানা যায়।


  • উপজেলায় ২৮৬ নলকূপ বসানোর কাজ প্রায় শেষ
  • অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন জেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা

যশোরের শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নুর ইসলাম জানান, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৮৬টি আর্সেনিকমুক্ত নলকূপ বসানোর কাজ প্রায় শেষের পথে। মেসার্স ফিরোজ এন্টারপ্রাইজ, দিয়া এন্টারপ্রাইজ ও খাকি কনস্ট্রাকশন নামের তিনটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নলকূপ স্থাপনের কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই বেন্টোনাইটক্লে¬র পরিবর্তে গরুর গোবর ব্যবহার করছে। তবে আগামীতে যাতে গোবর ব্যবহার না করে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূবর্ণখালী গ্রামের সামছুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি একটি নলকূপ জনস্বাস্থ্য অফিস থেকে নিয়েছে। ঠিকাদার নলকূপ বসানোর সময় গোবর মিশ্রিত পানি ব্যবহার করেন। তাছাড়া আমরা তো বেন্টোনাইটক্লে¬ চিনিই না।’

এ বিষয়ে যশোর জেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদ পারভেজ বলেন, ‘নলকূপ বসানোর সময় গোবর ব্যবহার করা হচ্ছে না। তবুও অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
যশোর,বেনাপোল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close