শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

  ০৬ মার্চ, ২০২৪

দলিল লেখক সমিতি

শেরপুরে চাঁদা দাবির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

অভিযোগকারী নাজনিন পারভীন পলি। ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

বগুড়ার শেরপুরে দলিল লেখক সমিতি ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে হয়রানীর অভিযোগ করেছেন এক নারী। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর ১২টায় শেরপুর উপেজলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

অভিযোগকারী নাজনিন পারভীন পলি শেরপুর পৌর শহরের কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা ও বর্তমান পৌর মেয়র জানে আলম খোকার ছোট বোন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন, শেরপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন ও অফিসের কর্মচারী জাহিদুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে পলি বলেন, তিনি গত রবিবার তার দুই শতক জমি বিক্রি করার জন্য ক্রেতাকে সঙ্গে নিয়ে শেরপুরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সেখানে অফিসের কর্মকর্তা সব কাগজপত্রের যাচাই করে দলিল লিখে নিয়ে আসতে বলেন। এরপর তিনি শেরপুর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিনের কাছে দলিলটি লিখে নেন। কিন্তু জামাল মোটা অংকের টাকা দাবি করে দলিলটি আটকে রাখে। এরপর সমিতির সভাপতি ফেরদৌস ও অফিসের কর্মচারী জাহিদুল ইসলামও তার কাছে টাকা দাবি করেন। এ ছাড়া তারা জমির ক্রেতার কাছেও টাকা দাবি করলে তিনি জমি কিনতে অস্বীকার করেন। এতে পলি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে পলি জানান, তিনি জমিটি সাড়ে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। তারা তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযুক্ত শেরপুর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, ‘জমিটি নিয়ে একটি মামলা চলমান রয়েছে। এজন্য দলিল রেজিস্ট্রি করা যায়নি। আমি তার কাছে কোন টাকা দাবি করি নাই।’

টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করে অফিসের কর্মচারী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জমিটির দলিল রেজিস্ট্রি করতে আইনগত কোন বাধা নেই। কিন্তু তারা আমাদের কাছে দলিল নিয়ে আসেনি। তাই রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হয়নি।’

শেরপুরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘সমিতির বিষয়ে আমি জানি না। আমার কাছে কেউ দলিল নিয়ে আসলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক থাকলে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হবে।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বগুড়া,শেরপুর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close