ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ফটিকছড়িতে ৪১ ইটভাটার নেই লাইসেন্স, ৫২ ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ৫২টি ইটভাটায় নিয়মনীতি না মেনে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এছাড়া, ফসলি জমির ওপরিভাগের মাটি কেটে তৈরি করা হচ্ছে ইট। ইট পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দু-একটি ভাটায় অভিযান চালালেও প্রতিকার মিলছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই চলছে এসব ইটভাটা।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, উপজেলায় ৫২টি ইটভাটার মধ্যে লাইসেন্স রয়েছে ১১টিতে। শুধু উচ্চআদালতে রিটের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বছরের পর বছর অবৈধভাবে চালাচ্ছে এসব ভাটা।
জানা যায়, সম্প্রতি উচ্চআদালতের এক আদেশে দেশের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত বছরের ১৩ নভেম্বর এ আদেশ দেন। পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে মনজিল মোরশেদ ১০ নভেম্বর উচ্চআদালতে এই রিট করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় অবৈধ ইটভাটাগুলো পুরোদমে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হাসান সজীব জানান, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লাইসেন্স না থাকায় ইতোমধ্যে কয়েকটি ভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বেশকিছু ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পিডিএস/জেডকে