কুবি প্রতিনিধি

  ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাস বাড়ানোর দাবি

কুবিতে নীল বাস বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার পরিবহন সংকট

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অন্যদিন বাসের সূচিক্রম স্বাভাবিক থাকলেও ‘বৃহস্পতিবার’ বন্ধ থাকে নীল বাস। কৃচ্ছতা সাধনের নামে নিজস্ব সাতটি নীল বাস বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) ৮টি লাল বাস মাত্র দুই শিফটে চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

জানা যায়, ২০২২ সালের ২৭ জুলাই সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছতা সাধন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭২তম জরুরি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভায় সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র অনলাইনে ক্লাস ও নিজস্ব এবং ভাড়াকরা যানবাহনসমূহের ব্যবহার সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপর ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর ৭৮ তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভার আলোচ্যসূচী ১৯ অনুযায়ী অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হওয়ায় ১ জানুয়ারী ২০২৪ থেকে বৃহস্পতিবার সশরীরে ক্লাস নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তবে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছতা সাধন নীতি অনুযায়ী অর্ধবেলা (দুপুর ২টা পর্যন্ত) চলবে ক্লাস। উক্তদিন পরিবহন সেবা শুধুমাত্র দুইবার প্রদানের জন্যও সুপারিশ করা হয়। সকাল ৮টায় শিক্ষার্থী নিয়ে বাস ক্যাম্পাসে আসবে এবং দুপুর ২টায় আবার ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থী নিয়ে শহরে যাবে। যদিও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এ সিদ্ধান্ত পরিবহন পুলকে না জানিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাদের।


  • অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এ সিদ্ধান্ত পরিবহন পুলকে না জানিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাদের
  • বিআরটিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতায় দুর্ভোগ বাড়ছে দাবি শিক্ষার্থীদের

বৃহস্পতিবার দুইবার পরিবহন সেবা প্রদান ও নিজস্ব সাতটি নীল বাস বন্ধ রাখার কারণে সৃষ্টি হয় ভোগান্তি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পরিবহনে ফিটনেসবিহীন, নষ্ট গাড়ি পাঠিয়ে দায়সাড়াভাবে চুক্তি রক্ষা করছে বিআরটিসি। আর বিআরটিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীরা বলেন, বৃহস্পতিবার মাত্র দুই শিফটে লাল বাস চলাচল করে। যা শিক্ষার্থীদের সংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল। বৃহস্পতিবার শিক্ষকরা একটা ক্লাস দেয়। এই একটা ক্লাস করার জন্য কোন শিক্ষার্থী সকাল ৮টার বাসে গিয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত বসে থাকবে। সেকারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অন্য পরিবহনে বাসায় ফিরতে বাধ্য হয়। এভাবে শিক্ষার্থীরা যদি ভাড়া দিয়ে ক্যাম্পাসে যায় তাহলে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছতা সাধন হলেও তাদের কৃচ্ছতা সাধন হচ্ছে না। প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বাসের সংখ্যা বাড়ানো।

পরিবহন পুলের সেকশন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার বাসে ভিড় হয় এ ব্যাপারে অবগত আছি। আগামী সপ্তাহে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলব। কী পরিমাণ বাজেট আছে সবকিছু চিন্তা করে বাসের শিডিউল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করব। সভা করে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেব।

পিডিএস/জেডকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুবি,বাস,বৃহস্পতিবার,বাড়ানো,দাবি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close